গ্যাস কূপে তেলের সন্ধান, দৈনিক মিলবে ৬০০ ব্যারেল
প্রকাশিত : ১৫:৫৪, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
সিলেটের জৈন্তাপুরের একটি গ্যাস কূপের তিনটি স্তরে গ্যাস ও একটি স্তরে জ্বালানি তেলের সন্ধান মিলেছে। এখান থেকে দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যারেল হারে তেল পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই সুসংবাদ দেন তিনি।
সিলেটের জৈন্তাপুরের ১০ নম্বর গ্যাস কূপ। এই কূপের নতুন তিনটি স্তরে গ্যাস পাওয়া গেছে; একইসাথে অন্য একটি স্তরে মিলেছে তেলের সন্ধান। একযোগে উৎপাদন করা হলে কূপটি থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর তেল-গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।
গ্যাস কূপের ২ হাজার ৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে নিচের স্তরে ২ হাজার ৫৪০ থেকে ২ হাজার ৫৫০ মিটার পর্যন্ত পরীক্ষা করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গেছে। আর মজুদের পরিমাণ ৪৩ থেকে ১০০ বিলিয়ন ঘনফুট।
এছাড়া ২ হাজার ৪৬০ থেকে ২ হাজার ৪৭৫ মিটার গভীরে আরও একটি স্তরে গ্যাস পাওয়া গেছে। এখানে পরীক্ষা করলে ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। এর উপর আরও একটি গ্যাসের স্তর রয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
এছাড়া একই গ্যাস কূপের একটি স্তরে তেলের সন্ধান মিলেছে। যেখান থেকে প্রতি ঘন্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া যাবে জানান মন্ত্রী।
পরীক্ষানিরীক্ষা সম্পন্ন হলে সিলেটের জৈন্তাপুরের এই গ্যাসকূপে মজুদ থাকা তেলের তথ্য জানা যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গড় ভারিত মূল্য হিসেবে এর মূল্য প্রায় ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয়, তাহলে কূপটি ১৫ বছরেরও বেশি সময় সাসটেইন করবে।’
প্রথম দিনে দুই ঘণ্টায় ৭০ ব্যারেলের মতো তেল উত্তোলন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তেল উত্তোলন আমরা আপাতত বন্ধ রেখেছি। এটা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে, মোট মজুদের পরিমাণটা আমরা জানতে পারবো। পুরো বিষয়টির বিস্তারিত জানতে আরও চার থেকে পাঁচ মাস সময় লাগবে।’
এএইচ
আরও পড়ুন