বাইডেনের চিঠি দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে ইতিবাচক, মত কূটনীতিকদের (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৪২, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | আপডেট: ১২:৪৩, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠি দুদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন বার্তা দিচ্ছে বলে মত কূটনীতিবিদদের। চিঠিতে নতুন সরকারকে সরাসরি অভিনন্দন না জানানো হলেও সহযোগিতা ও দুদেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়েছে, যা ইতিবাচক।
বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ নানা বিষয়ে একসাথে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
কূটনীতিবিদরা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর অনেক দেশ সরকারকে অভিনন্দন জানালেও বাকি ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ চিঠিতে সরাসরি অভিনন্দন না জানালেও একসাথে কাজ করার যে আগ্রহ জানিয়েছে দেশটি, তাতে দুই দেশের সম্পর্কের মেঘ আপাতত কেটে গেছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, “সবদিক থেকে বোঝা যায়, নির্বাচনের আগে সম্পর্কের যে দোয়াশার সৃষ্টি হয়েছিল প্রেসিডেন্ট বাইডেনর চিঠিতে তা কেটে গেল। এর মধ্য দিয়ে আমরা সহযোগিতা সেই রাজপথে ফিরে আসলাম।”
নির্বাচনের আগে ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ টানাপড়েনের নানা বিষয়ে আলোচনা হলেও চিঠিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্বের নতুন অধ্যায় এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের অভিন্ন লক্ষ্যের ইঙ্গিত রয়েছে। তবে নিজ অবস্থান অটুট রেখে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া উচিত।
মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যা চাইবে হুবহু আমরা তা দিয়ে দিব সেটা তো হচ্ছেনা। ইন্দো-প্যাসিফিকের বিষয়ে বাংলাদেশ মোটামুটি সবকিছুতে সমর্থন করে, সাথে সাথে দু’একটি জিনিসকে সংযুক্ত করেছে। ইন্দো-প্যাসিফিকের মাধ্যমে যেসব সহযোগিতা হবে সেগুলো যেন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়।”
রাজনৈতিক সম্পর্কে ঘাটতি অর্থনৈতিক সহযোগিতায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। যা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সম্পর্কে ইতিবাচক বলেও মত কূটনীতিবিদদের।
এএইচ
আরও পড়ুন