ইতিহাস বিকৃতি এক শ্রেণির মানুষের মজ্জাগত: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৮:৫৯, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ইতিহাস বিকৃত করা ও বাংলাদেশের মানুষকে হেয় করা এক শ্রেণির মানুষের মজ্জাগত, তারা কিছুই ভালো লাগে না রোগে আক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমাদের দেশের কিছু আঁতেল এক সময় বলেছে, শেখ মুজিব ভালো প্রশাসক ছিলেন না। অথচ, যে সেক্টরে হাত দিয়েছি, দেখেছি মূল কাজটা বঙ্গবন্ধু করে দিয়ে গেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার কাজ করেছেন। স্বল্পোন্নত দেশ করে দিয়ে গেছেন। তার দেখানো পথেই আমরা এগিয়েছি।’
এসময় বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়। অথচ তারা নানান উপায়ে বঙ্গবন্ধুকে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে চলে যায় আমাদের পতাকা। ইনডেমনিটি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করেছে। খুনিদের পুনর্বাসন করে নানান জায়গায় পদায়ন করেছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে তুলে দিয়েছে আমাদের দেশের পতাকা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃত করা ও বাংলাদেশের মানুষকে হেয় করা এক শ্রেণির মানুষের মজ্জাগত। তাদের কিছুই ভালো লাগে না রোগ। এক সময় আমি বঙ্গবন্ধুর ভাষা আন্দোলন নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার ফলে একজন লিখলেন, আমি এগুলো মিথ্যা বলেছি। পরে এম আর আক্তার মুকুল সাহেবকে দিয়ে জবাবটা লেখালাম। সে সময়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী তখন তাকে দিলাম। বললাম, আপনিই লেখেন। আমরা তো চুনোপুঁটি। আমরা লিখলে হবে না।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা সেই সময়ে একটার পর একটা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সেটিই ছিল আমাদের পাথেয়। সেগুলোর পথ ধরেই আমরা এগিয়ে গেছি। ভাষার ওপর একটার পর একটা আঘাত আসে। তখন বাংলার মানুষ প্রতিবাদ করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধু তার সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে যে চেতনা, তার থেকেই আমাদের স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আসে। জাতির পিতা এটি তার আত্মজীবনীতেও লিখেছেন, ৫২ থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন একাত্তরের স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালে ও ছাত্রলীগ ১৯৪৮ সালে গঠিত। এই দেশের যতটুকু অর্জন, তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সব আন্দোলনে আওয়ামী লীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।’
এমএম//
আরও পড়ুন