‘দেশে অর্ধেকের বেশি নারীর বাল্যবিয়ে হয়’
প্রকাশিত : ২০:৩৩, ৪ মার্চ ২০২৪
বাংলাদেশে অর্ধেকের বেশি নারীর বাল্যবিয়ে হয় বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। তিনি আরো জানান, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ৬৪টি জেলায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে মনিটরিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১২ হাজার ১৫০ বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৪ মার্চ) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনি এ সকল তথ্য জানান।
এর আগে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে লিখিত প্রশ্নের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু তাঁর প্রশ্নে করোনাকালের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘অসচ্ছল পরিবারের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার হার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।’ মেয়েশিশুদের জন্য সরকারের পরিকল্পনা জানতে চান তিনি।
জবাবে প্রতিমন্ত্রী ‘মাল্টিপল ইনডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯’ তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার ১৫ বছরের নিচে ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ১৮ বছরের নিচে ৫১ দশমিক ৪০ শতাংশ।’ তিনি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ১৭টি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জানান, জীবন বাঁচাতে সাঁতার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় পাঁচ লাখ ৯ হাজার ৮৭০ জন শিশুকে সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ‘সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশুযত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং শিশুর সাতার সুবিধা প্রদান’ শীর্ষক এসংক্রান্ত প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে। প্রকল্পের আওতায় আট বিভাগের ১৬টি জেলার ৪৫টি উপজেলায় এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের জন্য আট হাজারটি শিশুযত্ন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা এবং ৬-১০ বছর বয়সি শিশুদের জন্য সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রদানসহ অভিভাবকদের জন্য প্যারেন্টিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
সরকার দলের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে সিমিন হোসেন জানান, ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১২ হাজার ১৫০টি বাল্যবিয়ে রোধ করা গেছে।
একই সময়ে বাল্যবিয়ে রোধে ৪৩ হাজার ৭৭৭টি উঠান বৈঠক করা হয়েছে।
এমএম//
আরও পড়ুন