রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত প্রস্তাব সংসদে গৃহীত
প্রকাশিত : ০৮:২৪, ৬ মার্চ ২০২৪
রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।
গত ৪ জানুয়ারি সংবিধান অনুযায়ি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে রাষ্ট্রপতি এ ভাষণ দেন। রীতি অনুযায়ী এ ভাষণ সম্পর্কে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রস্তাবটি সমর্থন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার ২১তম এবং শেষ দিনে মঙ্গলবার অংশ নেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী ও চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। দেশের জিডিপিতে তার প্রভাব পড়ছে।
তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী, যোগাযোগ, আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়া, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রপতি তাঁর ১৬৩ পৃষ্ঠার ভাষণে দেশের সার্বিক বিষয়ে সঠিক পরিমাপ দিয়েই বলেছেন। তাঁর ভাষণে অতি উচ্ছ্বাস, অতিরঞ্জিত উক্তি নেই একই সঙ্গে কৃপণতারও ছাপ নেই। রাষ্ট্রপতির ভাষণে দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত অথচ চমৎকারভাবে উঠে এসেছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে দেশের সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার আন্দোলনে একটি সফল মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। বিগত কয়েক মাসে সংঘটিত অসাংবিধানিক কার্যাবলী জাতি প্রত্যক্ষ করেছে। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে জামায়াত-বিএনপি একের পর এক বাধার সৃষ্টি করেছে। জনগণ যাতে স্বতস্ফুর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে সেজন্য হেন কোন প্রতিবন্ধকতা নেই যা তারা করেনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে এবং দেশের সাংবিধানিক ধারা ব্যাহত করতে বিএনপির দণ্ডপ্রাপ্ত নেতা জিয়াপুত্র তারেক রহমান দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করেছে। রাষ্ট্রপতি জনগণকে দেশে-বিদেশে এসব ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন।
উপনেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারী নেতৃত্বে দেশ আজ অর্থনৈতিক উন্নয়নের উন্নত স্তরে অবস্থান করছে। আমাদের অগ্রযাত্রায় অগ্রগতি এবং সার্বিক উন্নয়নের একটা বিশদ চিত্র রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণে শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নের চিত্রই ফুটে উঠেনি, তাঁর ভাষণে সাধারণ অর্থনীতি, আমদানী, রপ্তানী, রেমিটেন্সের চিত্র , শিক্ষায় অগ্রগতি, দারিদ্র হ্রাস, সামাজিক সূচকে অসামান্য অগ্রগতির চিত্র ফুটে উঠেছে।
বিরোধী দলের নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের জনগণ এবং গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে।
তিনি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করে বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেন। এছাড়া ঋণ খেলাপীর লাগাম টেনে ধরার প্রতিও জোর দেন।
বিরোধী দলের নেতা দেশ থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এএইচ
আরও পড়ুন