প্রাইভেট প্র্যাকটিস কমিয়ে গবেষণায় মনোযোগী হউন: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৫:০০, ১১ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ১৫:১৯, ১১ মার্চ ২০২৪
সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস কমিয়ে গবেষণায় মনোযোগী হবার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিকিৎসা খাতে গবেষণা বরাদ্দ বাড়ানোরও আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা সরকারি চাকরি করছেন, তারা প্রাইভেট প্র্যাকটিসটা একটু কমিয়ে দিয়ে গবেষণার দিকে মনোযোগ দেন। এ ছাড়া যারা গবেষণা করবেন তাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করব। গবেষণাটা আমাদের খুব দরকার। বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, এই দুইটার ওপর আমাদের গবেষণায় সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের গবেষণায় আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে। গবেষকদের কোনো অসুবিধা থাকলে সেটা কীভাবে দূর করা যায় সে ব্যাপার আমাদের সরকার সবসময় আন্তরিক।’
শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধ শাসকদের কাছে ক্ষমতা ছিল ভোগের বস্তু। বিএনপির আমলে সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সংসদে বলেছিলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ভালো না। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে, বিদেশি খাদ্য সহায়তা পাওয়া যায় না। কিন্তু বর্তমান সরকার তা পাল্টে দিয়েছে। গবেষণায় জোর দিয়েছিলাম বলেই, বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ‘কৃষিতে গবেষণা করে আজ আমরা শুধু খাদ্যকে স্বয়ংসম্পূর্ণ না, বাংলাদেশে এখন আমাদের ফল, ফুল, এমনকি টিউলিপ, যেটা শীতের দেশ ছাড়া হয় না, সেই টিউলিপও বাংলাদেশ হচ্ছে। স্ট্রবেরিও বাংলাদেশে হচ্ছে। সবই গবেষণার ফসল। গবেষণা আমাদের নতুনভাবে দুয়ার খুলে দেয়। আর বাংলাদেশের মাটি হচ্ছে সোনার মাটি, যা লাগানো যায় সেটাই হয়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।’
সরকারপ্রধান বলেন, আজ গবেষণার জন্য যে টাকা আমরা অনুদান হিসেবে দিচ্ছি, মনে রাখতে হবে এই টাকাটা বাংলাদেশের জনগণের টাকা। জনগণের টাকা জনগণের কল্যাণে যেন লাগে। কারণ, গবেষণা থেকে যেটা উদ্ভাবন হবে সেটা কিন্তু জনগণের কাজে লাগবে। সেই কথাটাই মাথায় রাখতে হবে। আমি মনে করি তরুণের যেই মেধাশক্তি সেটা বিকাশের মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের যা প্রয়োজন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সবই করে দিয়ে গিয়েছিলেন। ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে তৃণমূলের মানুষের মধ্যে ক্ষমতা দিয়ে তিনি (বঙ্গবন্ধু) আর্থসামাজিক উন্নয়ন করতে চেয়েছিলেন। যখনই সেই পদক্ষেপ নিলেন, তখন এলো চরম আঘাত— ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট। জাতির জন্য একটি কলঙ্কময় অধ্যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক ছাড়াও চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে গবেষকদের মাঝে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বা এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান করছে বাংলাদেশ সরকার। এ বছর ৪ হাজার ৭১৭ জন ফেলোশিপ ও গবেষণার জন্য মনোনীত হয়েছেন।
যাদের মধ্যে ৫৪ জনকে অনুদানের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এএইচ
আরও পড়ুন