ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪

সোনালী দিনের হাতছানি দিচ্ছে সোনালী আঁশ পাট: প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:২৮, ১৪ মার্চ ২০২৪

সোনালী আঁশ পাট বাংলাদেশের জন্য সোনালী দিনের হাতছানি দিচ্ছে উল্লেখ করে শ্রমঘন পণ্য হিসেবে পাটখাতে অনুদানের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরোন পাটকল লিজ দিলেও নজরদারিতে থাকবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ‘জাতীয় পাট দিবস ২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। 

পাট শিল্পকে উন্নত করতে গবেষণা অব্যাহত রাখার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। উৎপাদন বাড়লে বিশ্ব বাজারে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে বলে মনে করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রফতানিযোগ্য পাট পণ্যের উৎপাদনে সবাইকে মনোযোগী হতে হবে। পাট পণ্যকে বহুমুখী এবং কী তৈরি করা যায়, রফতানিতে চাহিদা কোন কোন পণ্যের বেশি, সে বিষয়ে মনোযোগী হওয়া দরকার। সোনালী আঁশ সোনার বাংলা গড়ে তোলায় বিরাট ভূমিকা রাখবে।

তিনি বলেছেন, পাট শিল্পকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যা মোটেও শুভ ছিল না। পাটকলগুলোকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। পাটের জন্য রহস্য উদ্ভাবনের মাধ্যমে পাট ও পাট শিল্পের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজার খুঁজতে হবে। 

ধ্বংসের মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা সোনালী আঁশ পাটই বাংলাদেশের জন্য সোনালী দিনের হাতছানি দিচ্ছে বলে জানান সরকার প্রধান। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সোনালী আঁশ, সোনার বাংলা গড়ে তোলায় বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমাদের সমৃদ্ধিকে আরও ত্বরান্বিত করবে। জাতির পিতার ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলায় সহায়ক হবে। এজন্য পাটের বহুমুখী ব্যবহারে নানা উদ্যোগ নেয়া হবে।

শ্রমঘন পণ্য হিসেবে পাটখাতে অনুদানের আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে চাষীদের ন্যায্য পারিশ্রমিক বুঝিয়ে দেবার নির্দেশ দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। 

তিনি বলেন, পাট কৃষিপণ্য আবার শিল্পের কাঁচামাল। রফতানিও হয়। এটি কৃষিরও প্রণোদনা পায় না, আবার রফতানিরও প্রণোদনা পায় না। আমি পরিবেশবান্ধব এ পণ্যটিকে কৃষিজাত ও রফতানিমুখী পণ্যের স্বীকৃতি এবং প্রণোদনা দেব।

ইজারার জন্য নির্ধারিত বিজেএমসির ছয়টি মিলের বাণিজ্যিক উৎপাদন কার্যক্রম ও বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী বহুমুখী পাটপণ্য প্রদর্শনী ও মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। 

‘বঙ্গবন্ধুর সোনার দেশ, স্মার্ট পাটশিল্পের বাংলাদেশ’- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাটখাতে সমৃদ্ধির ধারা চলমান রেখে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১১টি ক্যাটাগরিতে ১১ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয় সম্মাননা। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি