ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪

গাজায় মানবতা কোথায়, বিশ্ববিবেক কেন নাড়া দেয় না- প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:২৪, ১৭ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ১৪:৪৪, ১৭ মার্চ ২০২৪

ফিলিস্তিনি শিশু হত্যার নিন্দা জানিয়ে মানবাধিকার ও শিশু অধিকার নিয়ে কথা বলা দেশগুলোর দ্বিমুখী আচরণের কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গাজায় যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের বাংলাদেশি সহযোগিতা অব্যাহত রাখারও আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকীতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আজ জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে নতুন প্রজন্মকে মানবিক গুনাবলী নিয়ে গড়ে তোলারও আহবান জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা। এর আগে, বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। 

রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনায় করা হয় দোয়া মোনাজাত।

পরে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে আনব হাসি সবার ঘরে’- এই প্রতিপাদ্যে জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মানবিক গুনাবলী নিয়ে শিশুদের গড়ে তোলার আহবান জানান সরকারপ্রধান। 

তিনি বলেন, শিশুরা যাতে সুন্দর পরিবেশে মানুষ হয়, সেদিকে লক্ষ রাখছি। শিশুদের ঝরে পড়ার হার কমিয়ে এনেছি। আগামী দিনে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মূল নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশু-কিশোররা। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে আমরা শিশুদের গড়ে তুলছি।’

গাজায় ফিলিস্তিনি শিশু হত্যার নিন্দা জানিয়ে মানবাধিকার ও শিশু অধিকার নিয়ে কথা বলা দেশগুলোর দ্বিমুখি আচরণের কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। অনেকে শিশু অধিকার-মানবাধিকারের কথা বলে সোচ্চার থাকে, পাশাপাশি দেখি তাদের দ্বিমুখী আচরণ। গাজায় যখন শিশু-নারীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে? তাদের মানবতাবোধ কোথায় থাকে? গাজায় হামলার ঘটনায় জানি না বিশ্ববিবেক কেন নাড়া দেয় না! এটাই আমার প্রশ্ন।’

অনুষ্ঠানে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার আর অসচ্ছল মেধাবীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। দর্শকসারিতে বসে শিশুদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ‘এক তর্জনির নির্দেশ, স্বাধীন হলো বাংলাদেশ’ উপভোগ করেন তিনি। 

এর আগে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি