ঢাকা, শনিবার   ১৫ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

খলিলসহ তিন ব্যবসায়ীর পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি সম্ভব নয়: ভোক্তার ডিজি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:২৭, ২৪ মার্চ ২০২৪ | আপডেট: ১৫:২৮, ২৪ মার্চ ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেছেন, গরুর মাংস বিক্রেতা খলিল, নয়ন ও উজ্জ্বল এতদিন লোকসান দিয়ে গরুর মাংস বিক্রি করেছেন। গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে মাংসের দামও বেড়ে গেছে। তাদের পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে তারা কি করবেন, এটি সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত।

রোববার (২৪ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে ব্যক্তি পর্যায়ে সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ভোক্তার ডিজি বলেন, মূলত গরুর দাম বেশি হওয়ার কারণে মাংসের দাম বেড়ে গেছে। গত বছরের শেষদিকে খলিলের উদ্যোগে দেশের বাজারে কমতে শুরু করে গরুর মাংসের দাম। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশন এক মাসের জন্য ৬৫০ টাকা দাম বেঁধে দেয়ার পর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে আবারও বাড়তে শুরু করে মাংসের দাম। 

এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, রমজানের পর খলিল-নয়নদের দোকানে উপচেপড়া ভিড় ছিল। মাংস কিনতে ঢাকার বাইরে থেকে মানুষ এসেছে তাদের দোকানে। সেখানে পুলিশ পর্যন্ত মোতায়েন করা হয়েছিল। এর আগে খলিলকে মৃত্যুর হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছিল। রাজশাহীতে কম দামে মাংস বিক্রি করায় একজনকে খুন করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, মূলত খলিল-নয়নরা এতদিন লোকসান দিয়ে মাংস বিক্রি করেছেন। এখন বাজারে গরুর দাম বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে তারা কী করবেন, এটি সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত।

অন্যদিকে, সংবাদ সম্মেলনে খলিল জানান, আমি এখন থেকে সকাল ৭টায় দোকান খুলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাংস বিক্রি করবো। আগামী ২০ রমজান পর্যন্ত প্রতিদিন ২০টা করে গরু বিক্রি করা হবে। আগে প্রতিদিন ৪০টি বিক্রি করলেও, এখন আর সেটি সম্ভব নয়। এই সময়ে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি করা হবে।

এমএম//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি