অন্ধকারের শক্তিকে পরাজিত করার প্রত্যয় মঙ্গল শোভাযাত্রায়
প্রকাশিত : ১৫:৪১, ১৪ এপ্রিল ২০২৪
অন্ধকারের শক্তিকে পরাজিত করে নতুন আলো জ্বালানোর বার্তা এলো মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে। প্রতিবছরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে বের হয় শোভাযাত্রা।
তিমিরবিনাশী স্লোগানে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা। চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে। অংশ নেন মন্ত্রী, মেয়রসহ সর্বস্তরের মানুষ।
আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের পাশাপাশি সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর প্রতীকী বিভিন্ন উপস্থাপনায় মঙ্গলের বারতা।
নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকলেও ছড়িয়ে পড়ে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। ঢাক-ঢোলের বাদ্যের তালে তালে নৃত্য, হৈ-হুল্লোড় আর আনন্দ উল্লাসে অন্ধকার শক্তিকে পরাজিত করার প্রতিজ্ঞা।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য জানান, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছড়িয়ে দিতে মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্যতম এক অনুষঙ্গ।
রোববার সকাল সোয়া ৯টায় শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে শুরু হয়। এরপর শাহবাগের ঢাকা ক্লাবের সামনে দিয়ে ঘুরে টিএসসি মোড় হয়ে ফের চারুকলার সামনে গিয়ে পৌনে ১০টার দিকে শেষ হয় শোভাযাত্রা।
শোভাযাত্রা ঘিরে ছিল কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। পুলিশ, র্যাবের সঙ্গে ছিল সোয়াত সদস্যরা। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও তৎপর ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে ড্রোনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানস্থল পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে।
এবারের শোভাযাত্রার শিল্প-কাঠামোগুলোর মধ্যে ছিল ময়ূর, হাতি, গন্ধগোকুল, টেপাপুতুল। মঙ্গলের বারতা পেঁচা। এছাড়া ছিল পাখি, মাছ, রাজা-রানির মুখোশ।
দুই পাখি ও কাঠঠোকরা। শোভাযাত্রায় আরও ছিল মা ও শিশু এবং বাঘের মুখোশ, টেপাপুতুল, রাজা-রানি, বাঘের মুখোশ।
এএইচ
আরও পড়ুন