ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার প্রভাব মোকাবেলায় প্রস্তুতির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০০, ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ২০:০১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট চলমান অস্থিরতা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে এবং এর ফলে বাংলাদেশে যে কোনো বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। 

আজ বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (ইরান-ইসরায়েলের অস্থিরতার কারণে) মধ্যপ্রাচ্যে বিরাজমান পরিস্থিতির প্রতি  সতর্ক দৃষ্টি রাখতে এবং এরফলে সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন।’

মাহবুব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশে সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কেও নিদের্শ দেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূর্ববর্তী যেসব বাস্তবায়নাধীন সিদ্ধান্ত রয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন হবে কিনা- তা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাস্তবায়নাধীন সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে মন্ত্রিসভাকে জানাতে বলেন।

দেশে এখনও ১৬টি আইন তালিকাভুক্ত করা হয়নি উল্লেখ করে মাহবুব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শীঘ্রই আইনগুলো বাদ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভা ‘মহেশখালী ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি (এমআইডিএ) অ্যাক্ট, ২০২৪’ ও ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা) আইন, ২০২৪’র খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

তিনি বলেন, মহেশখালীর মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরকে কেন্দ্র করে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সমন্বিত প্রক্রিয়ায় পরিচালনার জন্য একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব এমআইডিএ আইনের খসড়াটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করেন।

মাহবুব বলেন, আইনটির আওতায় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃপক্ষের গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন এবং এটি ১৭ সদস্যের বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হবে।

গভর্নিং বোর্ড ছাড়াও সরকার একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ করবে- যিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অফিসটি পরিচালনা করবেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কর্তৃপক্ষের মূল লক্ষ্য হচ্ছে- প্রায় ৫৫,৯৬৮ একর জমির নির্দিষ্ট এলাকার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা, সেখানে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শৃঙ্খলা আনা, বিদেশী বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা এবং এলাকাটিকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা।

‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা) আইন, ২০২৪’- সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি মূলত প্রচলিত ইংরেজি’র বাংলা সংস্করণ এবং এই সংস্করণে কোনো পরিবর্তন নেই।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি