ঢাকা, রবিবার   ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৬ জেলাকে বিশেষ প্রস্তুতির নির্দেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪২, ২৫ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলাকে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

শনিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানান প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।

দুপুরে সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। উপকূলবর্তী সব জেলাকে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

“এ পর্যন্ত প্রাপ্ত পূর্বাভাস ও সম্ভাব্য ভূমি অতিক্রম এলাকার ভিত্তিতে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা জেলাসমূহকে অধিকতর প্রস্তুত থাকার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি শনিবার মধ্যরাতেই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন। গভীর নিম্নচাপটি ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। এ নাম প্রস্তাব করেছে ওমান। আরবিতে এর অর্থ ‘বালি’।

দুপুর ১টায় বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

প্রতিমন্ত্রী মহিববুর বলেন, “বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, ভারতের আবহাওয়া অফিস, চীনের আবহাওয়া অফিস, জাপানের আবহাওয়া অফিস এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আমরা বুঝতে পেরেছি, ঘূর্ণিঝড়টি আসন্ন। এখন চলছে সংকেত ৩। এটা (সতর্ক সংকেত) সন্ধ্যা নাগাদ বা রাতে ৪-এর উপরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

“রাতে বিপদের পর্যায়ে চলে যেতে পারে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস পর্যালোচনা করে মনে হয়েছে ঘূর্ণিঝড় আসন্ন। সেটা মাথায় রেখে সেইভাবে আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি কাজ শুরু করে দিয়েছি।”

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরার উপকূল অঞ্চল বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ৭ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে। এজন্য পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সব প্রস্তুতি রয়েছে। ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও উপকূলে ৪ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।”

মহিববুর রহমান বলেন, “সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকায় ইফেক্ট হওয়ার ঝুঁকি আছে। এখন ৫০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থান করছে। বিশেষ করে পায়রা ও মোংলা বন্দরের সরাসরি দক্ষিণে।

“রোববার ভোর থেকে এটা প্রাথমিক আঘাত হানতে পারে। এরপর সন্ধ্যা নাগাদ মূলটা আঘাত হানবে।”

এর আগে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি জানান, শনিবার রাত ৮টায় ফের তারা বৈঠক করবেন। আর রোববার বেলা ১১টায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হবে।

এমএম//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি