ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪

ভয়ঙ্কর হবে রেমাল, ৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪০, ২৬ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় আইলার মতোই ভয়ঙ্কর হবে রেমাল। অনেকটা মিলও আছে দুটোর মধ্যে। এ কারণে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও বেশি রয়েছে। এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা ৫ ফুটের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে হতে পারে।

রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে রেমালের প্রভাব শুরু হয়েছে। দুপুর থেকে রাতের মধ্যে এটি প্রবল ঘূর্ণিঘড়ে রূপ নিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে রাতে। এর আগে শনিবার (২৫ মে) রাতে আবাহাওয়ার বিশেষ বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়টি ধারণার চেয়ে একটু বেশি শক্তিশালী হতে পারে। অতীতে আমফান ও আইলাও ঠিক মে মাসের শেষ দিকে আঘাত হানে এবং ওই দুটি ঘূর্ণিঝড় দেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে গেছে।

আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার মধ্যরাতে  চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল। 

এদিকে, শনিবার সন্ধ্যায় মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের জন্য ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরের জন্য ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। 

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৯.৪০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৫° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। 

ড. আবুল কালাম মল্লিক নামে একজন আবহাওয়াবিদ জানান, ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তিশালী হলে সতর্ক সংকেতও পরিবর্তন করা হবে। এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী বর্ষণ (২৮৯ মিমি) হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি