জোয়ার ভাটার সম্ভাবনা আছে, আতঙ্কের মধ্যে আছি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রকাশিত : ২৩:৩১, ২৬ মে ২০২৪
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে এখন পর্যন্ত দুইজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। আজ রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের অগ্রভাগ অতিক্রম করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটি আগামী ১ থেকে ২ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে। কেন্দ্রটি অতিক্রম করার পর ঘূর্ণিঝড়ের শেষ ভাগটি ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা পর বাংলাদেশ অতিক্রম করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব উপকূল এলাকায় বর্তমানে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। উপকূলীয় এলাকাগুলো ব্যাপকভাবে প্লাবিত হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার অনেক জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ভেতরে ঢুকেছে। এই মুহূর্তে উপকূলীয় এলাকার মানুষজন বিপদের মধ্যে আছেন। লাখ লাখ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষজন যেন সঠিকভাবে খাবার পায় সে বিষয়গুলো আমরা মনিটরিং করছি।
মহিববুর রহমান বলেন, জোয়ার ভাটার সম্ভাবনা আছে। আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। আমাদের আতঙ্ক কাটেনি, সামনে আতঙ্ক বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা আছে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম করার পরও সারা দেশে প্রবল বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এটাও একটি দুর্যোগের মধ্যে পড়ে। এর ফলে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এসব দুর্যোগকে লক্ষ্য করে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডসহ আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে মানুষের প্রয়োজনে ইতোমধ্যে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। সন্ধ্যার ভেতরে সব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। আমি এটা বলতে চাই, ৯ হাজার আশ্রয় কেন্দ্র উপকূলীয় মানুষজনের জন্য পর্যাপ্ত। এছাড়া আরও একদিন আগে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে আমাদের যেসব কাজ করা প্রয়োজন সেগুলো আমরা ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যেন সেবা পায় সেজন্য সব মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করছে। পায়রা বন্দরে নৌবাহিনীর রেসকিউ যানগুলো তৈরি হয়ে আছে।
কেআই//
আরও পড়ুন