ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪

তৃতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা

প্রতিনিধিদের খবর

প্রকাশিত : ০৮:৩৩, ৩০ মে ২০২৪

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ৮৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। 

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

রাজশাহী

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে রাজশাহীর পবা ও মোহনপুর উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে মোহনপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকের আফজাল হোসেন বকুল। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ১১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাপ-পিরিচ প্রতীকের আবদুল মোমিন শাহ পেয়েছেন ২৬ হাজার ২৯৭ ভোট।

অপরদিকে, পবা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ফারুক হোসেন ডাবলু। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৬২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এমদাদুল হক ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৯৮ ভোট।

ফরিদপুর

তৃতীয় ধাপে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪০ হাজার ৩৩৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শফিকুর রহমান পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫০৮ ভোট।

ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে কাওসার ভুইয়া বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬২ হাজার ৮৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপসমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৮৩০ ভোট।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

নীলফামারী

নীলফামারীতে তৃতীয় ধাপে কেবল সদর উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান দীপক চন্দ্র চক্রবর্তী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৪৬ ভোট।

বুধবার (২৯ মে) রাতে ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মেহেদী হাসান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

তৃতীয় ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও আশুগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাঞ্ছারামপুরে তৃতীয়াবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। ঘোড়া প্রতীকে তিনি ৮২ হাজার ৮১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল ইসলাম তুষার আনারস প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ১৬২।

অন্যদিকে আশুগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মো. জিয়াউল করিম খাঁন সাজু। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ২৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩৪০ ভোট।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জেসমিন সুলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই ফলাফল বেসরকারিভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। কোনো উপজেলাতেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। 

রাঙামাটি

রাঙামাটির লংগদু ও নানিয়ারচর উপজেলায় এ ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে লংগদু উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাশ বাবু বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকারকে চার হাজার ১৬০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন। 

মোট ২৩টি ভোটকেন্দ্রে আনারস প্রতীকে বাবুল দাশ বাবু পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৮৬ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল বারেক সরকার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ৮২৬ ভোট। 

অন্যদিকে নানিয়ারচর উপজেলার ১৪টি ভোটকেন্দ্রের সবকয়টির ফলাফলে ৬ হাজার ১৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকের অমর জীবন চাকমা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জ্যোতিলাল চাকমা পেয়েছেন ৪ হাজার ১৬২ ভোট।

খাগড়াছড়ি 

খাগড়াছড়িতে কেবল মহালছড়ি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বিমল কান্তি চাকমা কাপ পিরিচ প্রতীক ১০ হাজার ১৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) প্রার্থী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংজরী চৌধুরী আনারস প্রীতিকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৫২ ভোট।  
ভোট গণনা শেষে রাতে বেসরকারিভাবে নির্বাচিতদের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা রাজু আহমেদ। 

সাতক্ষীরা

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলায় লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মশিউর রহমান বাবু ৩১ হাজার ১৯৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের এসএম শওকত হোসেন পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪২ ভোট।

অপরদিকে কলারোয়া উপজেলা আমিনুল ইসলাম লাল্টু চেয়ারম্যান পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। ঘোড়া প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৮৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলতাফ হোসেন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৭৪১ ভোট।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, সাতক্ষীরা সদর ও কলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

শরীয়তপুর

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে শরীয়তপুরের ডামুড্যা ও গোসাইরহাট উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডামুড্যা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আবদুর রশিদ গোলন্দাজ। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আলমগীর মাঝি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭১৫ ভোট।

অন্যদিকে গোসাইরহাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মোশারফ হোসেন সরদার। হেলিকপ্টার প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ১৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুদ আলম  ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩৯৩ ভোট।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান খলিফা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবু দাউদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

টাঙ্গাইল

তৃতীয় ধাপে টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলায় ৪২ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা দোয়াত কলম প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ২০৮ ভোট।

নাগরপুরে প্রয়াত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেনের ছেলে কেএম সালমান শামস আনরস প্রতীকে ৩৫ হাজার ৭৪৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুস সামাদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩০৬ ভোট।

এছাড়াও দেলদুয়ারে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহমুদুল হাসান মারুফ কাপ পিরিচ প্রতীকে ২৯ হাজার ২৯৭ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক পেয়েছেন ১৮ হাজার ৯৫৩ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মতিয়ূর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মানিকগঞ্জ

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। সদর উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকে ৩৪ হাজার ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব সাহা। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আপন ফুপাতো ভাই মো. ইসরাফিল হোসেন পেয়েছেন ৩১ হাজার ৫৫৯ ভোট।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা লিটন ঢালী রাতে ১১০টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন।  

অন্যদিকে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শান্তা ইসলাম ৬০টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেছেন। এতে জাসদের (আম্বিয়া ) কেন্দ্রীয় কমিটির  সাংগঠনিক  মো. শাহজাহান আলী সাজু মোটরসাইকেল প্রতীকে ২২ হাজার ৮৩২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  আমজাদ হোসেন লাল মিয়া কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৬১ ভোট।

সিরাজগঞ্জ

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শাহজাদপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৫ হাজার ২১৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল হামিদ কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৬৬ ভোট।

অন্যদিকে চৌহালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. তাজ উদ্দিন দোয়াতকলম প্রতীকে ১৪ হাজার ৪৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ফারুক হোসেন ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩০২ ভোট।

পাবনা

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাবনা সদর, আটঘরিয়া ও ঈশ্বরদী উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  সোহেল হাসান শাহীন মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬৫ হাজার ৭৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ৫১ হাজার ৩৩৫ ভোট।

ঈশ্বরদী উপজেলাতে এমদাদুল হক রানা সরদার আনারস প্রতীকে ৩৯ হাজার ১৭০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ২৩০ ভোট।

অন্যদিকে আটঘরিয়া উপজেলায় তানভীর ইসলাম মোটরসাইকেল প্রতীকে ৪০ হাজার ৫৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ৩৪ হাজার ৭৬৭ ভোট পেয়েছেন।

রংপুর

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুর সদর ও গঙ্গাচড়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ২৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাব্বির আহমেদ কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৩  হাজার ৬৩৭ ভোট।

এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীক নিয়ে কৃষ্ণ রঞ্জন বর্মন ১৭ হাজার ১৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত ফরিদা পারভীন ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৩০ ভোট।

অন্যদিকে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন। তিনি ঘোড়া প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৯ হাজার ৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ২৮ হাজার ২০৮ ভোট।

এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৪ হাজার ৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন বই প্রতীকের আনোয়ারুল ইসলাম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন হাবিবা আকতার। তিনি ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ১০১ ভোট।

বগুড়া

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে বগুড়ার সদর, শাজাহানপুর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনটির মধ্যে দুইটিতে আওয়ামী লীগের নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আর একটিতে যুবলীগ নেতা।

বগুড়া সদরে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিষ পোদ্দার লিটন। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি ভোট পেয়েছেন ৩৬ হাজার ২৬০টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু সুফিয়ান সফিক ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬৮৫ ভোট।

শাজাহানপুরে ১১ হাজার ভোটের ব্যবধানে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন ছান্নু। তিনি মোটরসাইকেল সাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫২ হাজার ৯৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজেদুর রহমান শাহীন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪১ হাজার ৯০৫ ভোট।

শিবগঞ্জে প্রায় ২২ হাজার ভোটের ব্যবধানে আনারস প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা। তিনি পেয়েছেন ৭৭ হাজার ১০৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফিরোজ আহমেদ রিজু মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৮০৬ ভোট।

নোয়াখালী

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নোয়াখালীর সদর, বেগমগঞ্জ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে একেএম সামছুদ্দিন জেহান, মো. শাহেদ শাহরিয়ার ও মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল।

সদর উপজেলায় একেএম সামছুদ্দিন জেহান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৯৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাপ পিরিচ প্রতীকে এম এইচ শওকত রেজা চৌধুরী আরমান পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৪১৪ ভোট।

অন্যদিকে বেগমগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. শাহেদ শাহরিয়ার দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৬৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন ২৯ হাজার ৪৯৩ ভোট। এছাড়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮ হাজার ২২ ভোট । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল পেয়েছেন ১৮ হাজার ৬৭৮ ভোট।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইসমাঈল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নাটোর

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে নাটোরের গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গুরুদাসপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আহম্মদ আলী ঘোড়া প্রতীকে ২০ হাজার ৩৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আতিয়ার রহমান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৯০৩ ভোট।

অন্যদিকে বড়াইগ্রাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪০ হাজার ২৪৭ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আনিছুর রহমান দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬৩৪ ভোট।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট  মো. আরিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গাইবান্ধা

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে রেজাউল করিম রেজা ও মোস্তফা মহসিন।

রেজাউল করিম রেজা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩০ হাজার ২১৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শাহ্ মো. ফজলুল হক রানা পেয়েছেন ২৯ হাজার ৫৯০ ভোট। অপরদিকে মোস্তফা মহসিন লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ১১৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খয়বর হোসেন সরকার হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৯১৮ ভোট।

ফেনী

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ফেনী সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফেনী সদর উপজেলায় দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৩ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মনজুর আলম পেয়েছেন ৭ হাজার ৩০৯ ভোট।

অন্যদিকে সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয়বারের মতো জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন হাজার ৮৬ হাজার ১৭১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মজিবুল হক মানিক পেয়েছেন ৭০৯ ভোট।

নির্বাচনে দাগনভূঞা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চতুর্থবারের মতো জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির রতন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। দোয়াত-কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৭ হাজার ১৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চিংড়ি মাছ প্রতীকের প্রার্থী বিজন ভৌমিক পেয়েছেন ৩ হাজার ১৬৬ ভোট।

দিনাজপুর

তৃতীয় ধাপে দিনাজপুরের সদর, চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ইমদাদ সরকার। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রবিউল ইসলাম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩১৩ ভোট।

চিরিরবন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বাবু সুনিল কুমার শাহা। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৯৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ১৪৯ ভোট।

খানসামা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন শহিদুজ্জামান শাহ্। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩  হাজার ৯৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রাকেশ গুহ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৪৭৮ ভোট।

নেত্রকোণা

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ ইকবাল। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ৩০ হাজর ৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল ইসলাম খান সোহেল মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৪৫৪ ভোট।

মদন উপজেলায় আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইফতেখারুল আলম চৌধুরী ঘোড়া প্রতীকে ১৮ হাজার ৬৭৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল কুদ্দুস আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১০ হাজার ২৬৯ ভোট।

যশোর

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নিবার্চিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বিপুল ফারাজী। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৫২ হাজার ১৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য রনজিৎ রায়ের বড় ছেলে রাজীব রায় ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৮১৪ ভোট।

জেলার অভয়নগর উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অলিয়ার রহমান সরদার বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৭১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রবিন অধিকারী ব্যাচা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮ হাজার ২২১ভোট।

নরসিংদী

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌসী ইসলাম কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৪৭ হাজার ৭৮৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী আরিফ-উল- ইসলাম মৃধা পেয়েছেন ৪৩ হাজার ৭৯ ভোট।

লালমনিরহাট

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে লালমনিরহাট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন কামরুজ্জামান সুজন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৪৮৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইকবাল হোসেন মামুন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৯ হাজার ৪০৭ ভোট।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted







© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি