ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কোটা আন্দোলনে ছদ্মবেশে অনুপ্রবেশ করে জামায়াত-শিবির: প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০৪, ২৮ জুলাই ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা প্রাথমিকভাবে লো প্রোফাইল বজায় রেখে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ছদ্মবেশে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু পরে তারা বিপজ্জনকভাবে আন্দোলনের সামনের সারিতে চলে আসে।

আজ রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল মারিয়া সিসতিয়াগা ওচহোয়া ডি চিনচিক্রু গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মোঃ নাইমুল ইসলাম খান সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসীরা আসলে সেই স্থাপনাগুলোতে হামলা করেছে যা জনগণের কল্যাণে কাজ করার পর সরকার যে সাফল্য অর্জন করেছে তা তুলে ধরছে। এই প্রসঙ্গে তিনি কোভিড হাসপাতাল, মেট্রো রেল, এক্সপ্রেসওয়ে, সেতু ভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন এবং ডেটা সেন্টারের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সকল উন্নয়নের প্রতীক, যা জনগণকে স্বাচ্ছন্দ্য ও সুবিধা দিয়েছিল, সেগুলো ধ্বংসের শিকার’ হয়েছে।

সেনা মোতায়েনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা এই পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ধৈর্য দেখিয়েছেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, তাঁর দল আওয়ামী লীগের প্রায় ২১ জন এই সহিংসতায় নিহত হয়েছেন। 

দলমত নির্বিশেষে তিনি নিহত বা আহত সকলকে সাহায্য করা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের সাহায্য করার সময় দলীয় পরিচয় বিবেচনা করিনি।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা আন্দোলনের গতির শীর্ষে থাকতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থার কারণে দেশে কোটার অস্তিত্ব ছিল না। তিনি বলেন,‘তখন তাদের দাবির যৌক্তিক ভিত্তি কী হবে?’

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, সরকার মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের বেঁচে থাকা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা ও তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে।

স্পেনের রাষ্ট্রদূত শান্তি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে সেনা মোতায়েন এবং কারফিউ জারির প্রশংসা করে বলেন, ‘এখন ধীরে ধীরে সবকিছুর উন্নতি হচ্ছে।’

রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, শান্তি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা তিনি বোঝেন এবং এর প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি টেলিভিশনে সবকিছু দেখেছি কিন্তু ভাষার পার্থক্যের কারণে সেগুলো সঠিকভাবে বুঝতে পারিনি, তবে সংবাদপত্র থেকে আমি ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ এবং মারামারি থেকে ধ্বংসের বিষয় জানতে পেরেছি।’

রাষ্ট্রদূত জানান, তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে কয়েকটি ভাংচুর স্থান পরিদর্শন করেছেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেট বরাদ্দ জনগণের কল্যাণে সরকারের আন্তরিকতা নিশ্চিত করে। ‘অনেক দেশে এই ধরনের বাজেট সমর্থন বিদ্যমান নেই’ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এ সময় এম্বাসেডর এট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি