টানা বৃষ্টিতে রাঙামাটিতে ফের পাহাড়ধস, জনমনে আতঙ্ক
প্রকাশিত : ১৯:০৬, ৩ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ০৯:০২, ৪ জুলাই ২০১৭
টানা বর্ষণের কারণে রাঙামাটিতে আবার পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের মানিকছড়ির দেপ্পোছড়ি এলাকায় একটি পাহাড়ের অংশবিশেষ ধসে পড়ে। এতে প্রায় এক ঘন্টা ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকে।
গত ১৩ জুনের বিপর্যয়কর পাহাড়ধসের ঘটনার ২০ দিনের মাথায় আজ সোমবার আবার এই ঘটনা ঘটল। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ কারণে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কে যান চলাচল কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। পরে রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ রাস্তা পরিষ্কার করে যান চলাচলের ব্যবস্থা করে বলে রাঙামাটি সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন।
রোববার রাত থেকে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে একটানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কখনও ভারি কখনও হালকা বর্ষণ হলেও সম্পূর্ণ থামেনি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানার পর জেলা প্রশাসন রোববার সন্ধ্যার পর থেকে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করে। এরপর প্রায় সারা রাতই বৃষ্টি হয়েছে যা একটানা এখনো অব্যাহত আছে।
এই ধরণের বৃষ্টিতে সবার মধ্যেই নতুন করে পাহাড়ধসের আতংক সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে নতুন করে কিছু আতঙ্কিত মানুষ আসছে বলে জেলা প্রশাসনের সূত্র জানিয়েছে।
গত ১২ জুন রাতে প্রবল বর্ষণে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামসহ দেশের ছয় জেলায় দেড় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২০ জন মারা যায় রাঙামাটিতে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক রাশেদুল ইসলাম বলেন, জেলায় পাঁচটি আশ্রয় কেন্দ্র গত বর্ষণে খোলা হয়েছিল। প্রয়োজন হলে আবার সে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো ব্যবহার করার জন্য সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, রাঙামাটিতে বর্তমানে চালু থাকা ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র গুটিয়ে চারটি করা হবে। পাহাড় ধসে গৃহহীন লোকজনকে স্থানান্তর করে ওই চারটিতে স্থানান্তর করা হবে বলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাঙামাটি স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম, রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম এবং রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ ছাত্রাবাস কেন্দ্রে তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।
ডব্লিউএন
আরও পড়ুন