‘সীতাকুণ্ডের ৯ শিশুর মৃত্যু অপুষ্টিজনিত সংক্রমণে’
প্রকাশিত : ২১:২৯, ১৩ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১১:১৪, ১৪ জুলাই ২০১৭
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নয় শিশুর মৃত্যু মারাত্মক অপুষ্টিজনিত সংক্রমণের কারণে হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. ফারুক আহমেদ ভূঁইয়া।
সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রতিনিধি দল আক্রান্ত শিশুদের পর্যবেক্ষণ শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
একইসঙ্গে বিগত চারদিনে নয় শিশুর মৃত্যু এবং আরও শিশুর অসুস্থতার কারণ অনুসন্ধানে দুটি কমিটি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটিগুলো করা হয়।
ডা. ফারুক আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে দেখা গেছে তাদের অনেকের শরীরে হিমোগ্লোবিন কম আছে। রক্ত কণিকা কম আছে, পটাশিয়ামের তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘদিন অপুষ্টিতে ভোগার কারণে তাদের মধ্যে এ ধরনের প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আক্রান্ত শিশুদের দেখে এবং তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে রোগের উপসর্গ সর্ম্পকে জেনেছি। রোগীর রক্ত, প্রস্রাবসহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর এ রোগের প্রার্দুভাব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
জ্বর, শরীরে ফুসকুড়ি, কাশি,পাতলা পায়খানাসহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে গত চারদিনে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকার ত্রিপুরা পাড়ায় ৯ শিশু মারা যায়। নিহত শিশুদের প্রত্যেকের বয়স ছিল শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে।
এমন উপসর্গ নিয়ে আরও ৫৩ জন শিশুকে ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ (বিআইটিআইডি) ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার ৭ জনকে বিআইটিআইডিতে ভর্তি করা হয়েছে।
ত্রিপুরা পাড়ার শিশুরা গত দুই সপ্তাহ ধরে এ অজ্ঞাত রোগে ভুগলেও বিষয়টি বুধবার দুপুরে প্রশাসনের নজরে আসে। আক্রান্ত এক শিশুকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর বিষয়টি সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকীকে জানানো হয়। পরে সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে ডাক্তারদের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুরা এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, আক্রান্ত শিশুরা দীর্ঘদিন ধরে অপুষ্টিতে ভুগছিল। এখন হাসপাতালে তাদের উন্নতমানের খাবার, অ্যান্টিবায়োটিক ও স্যালাইন দেওয়ার পর অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
ডব্লিউএন
আরও পড়ুন