নির্বাচনী সংলাপ : সুশীল সমাজের ৬০ জনকে আমন্ত্রণের প্রস্তুতি
প্রকাশিত : ২১:০২, ২৩ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১০:২৪, ২৪ জুলাই ২০১৭
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী সংলাপ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব মুহাম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, সুশীল সমাজের ৬০ জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এর সংখ্যা বাড়তেও পারে, এ বিষয়ে কমিশন চিন্তাভাবনা করছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, আমন্ত্রণের চিঠি তৈরি হয়ে গেছে। আজ বা কালের মধ্যে চিঠি পৌঁছে যাবে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, অর্থনীতিবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, কলাম লেখক, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক এবং সিভিল সার্ভিসের প্রবীণ সচিব কিংবা রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি। বিভিন্নভাবে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে যাঁরা নিয়োজিত আছেন, এমন ব্যক্তিদের চিঠি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অবাধ এবং নিরপেক্ষতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সেই আঙ্গিকেই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মতামত নেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু এবং সুশৃঙ্খল হয়, সে বিষয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হবে। এ-সংক্রান্ত গত নির্বাচনের আইন ও বক্তব্যগুলো তাদের দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা প্রস্তুতি নিয়ে আসতে পারেন।
মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, অতীতের সংলাপের রেকর্ড বুক সংরক্ষণ করব এবং রেকর্ড বুকগুলো সংলাপ শেষে একত্রে প্রতিবেদন আকারে বের হবে। এই প্রতিবেদনে সবার সুপারিশ, যেগুলো গ্রহণ করার মতো, সে অনুসারে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর শিগগিরই হয়তো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির সঙ্গে বসা হবে।
নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, আমরা ভিন্ন আঙ্গিকে এগোচ্ছি। রাজশাহী ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে যে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে, তা আমরা ব্যবহার করব না। ডিভিএম নিয়ে আজও একটি প্রেজেন্টেশন আছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এক বা একাধিক ওয়ার্ডে ডিভিএম পাইলট আকারে ব্যবহার করতে পারব। এটাই পরিকল্পনা।
ডিভিএমের বৈশিষ্ট্য কেমন হবে, তা উল্লেখ করে মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, আগেরটায় (ইভিএম) কোনো ডিসপ্লে ইউনিট ছিল না। এটাতে একটি ছোট মাল্টিমিডিয়া প্রোজেক্টরের মতো থাকবে। এজেন্ট ও পোলিং এজেন্টরা ডিসপ্লেতে সব দেখতে পারবেন। একজন ভোটার আসার পর তার ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলে গেলে, তার ছবিসহ ভোটার তালিকা ডিসপ্লেতে দেখা যাবে। সবাই দেখে ঠিক আছে বললে, তবেই একজন ভোট দিতে পারবেন। প্রতিটি মেশিনের সঙ্গে ভোটার তালিকা সংযুক্ত করা থাকবে। একেকটি কেন্দ্রে দুটি মেশিন লাগবে।
ডব্লিউএন
আরও পড়ুন