ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

২৫ মার্চ রাতের আঁধারে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালীর ওপর

প্রকাশিত : ০৯:৪৪, ২৫ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৪:৪৪, ২৫ মার্চ ২০১৬

একাত্তরের ২৫ মার্চ উত্তাল দিন গড়িয়ে রাত। তখনও কেউ জানে না কী ভয়ঙ্কর, নৃশংস ও বিভীষিকাময় রাত অপেক্ষায়। ঐ রাতের আঁধারে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালীর ওপর। অপারেশন সার্চ লাইটের নামে চলে নির্মম হত্যাযজ্ঞ। এর প্রথম শিকার হয় তৎকালীন ইপিআর পিলখানা, রাজারবাগ পুলিশ নাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল। রাত সাড়ে ১১টায় ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হলো হনন-উদ্যত পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ছড়িয়ে পড়ল শহরময়। নিষ্পাপ, নিরপরাধ, ঘুমন্ত মানুষের ওপর নির্বিচারে চালানো হয় গুলি ও মর্টার সেল। পাকিস্তানী দানবরা মেতে ওঠে বাঙালি নিধনযজ্ঞে। অপারেশন সার্চ লাইট নামে গণহত্যার নীলনকশা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়ে গোপনে পাকিস্তানে চলে যান ইয়াহিয়া। সে দিন রেহাই পায়নি গণমাধ্যম কর্মীরাও। গ্যাসোলিন ছিটিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয় পিপলস ডেইলি ও গণবাংলা অফিস। দৈনিক সংবাদ, ইত্তেফাক, জাতীয় প্রেসক্লাবে অগ্নিসংযোগ, মর্টার সেল ছুড়ে ধ্বংস্তুপে পরিণত করা হয়। মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যাঙ্ক, সঙ্গে সেনা বোঝাই লরি। তৎকালীন ইকবাল হল, বর্তমানে জহুরুল হক হল ও জগন্নাথ হলে মধ্যযুগীয় কায়দায় রক্তের হোলি খেলায় মেতে ওঠে পাকিস্তানী হানাদাররা। সেই রাতে রাজারবাগ পুলিশের সদর দফতরে হানাদারদের সাঁড়াশি অভিযানের মুখে বাঙালী পুলিশ সদস্যরা আত্মসমর্পণের বদলে, সামান্য রাইফেল দিয়েই গড়ে তোলেন প্রতিরোধ। আক্রমন চালানো হয় বর্তমান বর্ডার গার্ড সদর দপ্তর পিলখানায়। আগেই নিরস্ত্র করা ইপিআর জোয়ানদের প্রতিরোধের কোনো সুযোগ না দিয়েই বর্বর পাকিস্তানীরা মেতে ওঠে নারকীয় হত্যাযজ্ঞে। আর প্রিয় স্বজনের রক্ত শুকানের আগেই যুদ্ধে যাবার প্রস্তুতি শুরু হয় বাঙলার ঘরে ঘরে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি