ঢাকা, সোমবার   ৩১ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

২৮ শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে গুড়িয়ে দেয়

প্রকাশিত : ০৮:৩০, ২৮ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ০৮:৩০, ২৮ মার্চ ২০১৬

Ekushey Television Ltd.

একাত্তরের ২৮ শে মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী বাঙ্গালীর চেতনা আর সংগ্রামের প্রতীক, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে গুড়িয়ে দেয়। এরপর পরই সেখানে উর্দু ভাষায় বড় বড় অক্ষরে লেখা হয় মসজিদ-মসজিদ। অপারেশন সার্চলাইটের ভয়াল কাল রাতের পর থেকে কিশোর- যুবকদের ধরে নিয়ে নির্যাতনও অব্যাহত থাকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকে মুক্তিকামী লাখো জনতা। পাড়া মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলে তরুন-যুবারা। রংপুরে বীর বাঙালী লাঠিসোটা, তীর ধনুক আর কাস্তে কোদাল নিয়ে আক্রমন করে ক্যান্টনমেন্ট। উপজাতীয় সাঁওতাল তীরন্দাজ বাহিনীর সংগ্রামী জনতা অংশ নেয় এ যুদ্ধে। শহীদ হন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। রাজধানীতে জগন্নাথ কলেজ সংলগ্ন পরিত্যক্ত ভবনে বাঙালী শিক্ষক, শিল্পী, ব্যারিস্টার ও হোটেল কর্মচারী সহ ৮৮ জনকে হত্যা করে পাক বাহিনী। সামরিক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে, ৮ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত সান্ধ্য আইন শিথিল করার কথা জানানো হয়। নগরী জুড়ে তখনও কবরের নিস্তব্ধতা। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পোড়া বিকৃত লাশ আর আগুনের ধোঁয়া। হানাদার বাহিনী এদিন হামলা চালায়. ১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত স্মৃতির মিনার, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে । গুড়িয়ে দেয় হয় বাঙ্গালীর অর্জনের প্রতিক শহীদ মিনার। এরপর প্রতিটি রাত আর্তনাদ করেছে তরুন যুবকের মৃত্যু যন্ত্রণায়। ঢাকা স্থাপিত সেনা ক্যাম্পে  চালানো হত নিষ্ঠুর নির্যাতন। একইভাবে প্রতিদিন গ্রামে গ্রামে অভিযান চালানো শুরু করে পাক সেনারা।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি