টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গার্মেন্টস কর্মী
প্রকাশিত : ১২:৪৫, ২ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ১২:৪৫, ২ এপ্রিল ২০১৬
টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক গার্মেন্টস কর্মী। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে ৩ জনকে। এদিকে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে দুই বোনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। কমলনগর থানায় ৫ জনকে আসামী করে পৃথক ২টি মামলা দারেয় করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গার্মেন্টস কর্মী। শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুরে একটি চলন্ত বাসে এই ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উদ্ধারকারীরা জানান, শুক্রবার সকালে গাজীপুরে যাওয়ার জন্য ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে বিনিময় পরিবহনের একটি বাসে উঠেন। সেসময় বাসের চালক ও ৪ জন কর্মচারী তাকে গন্তব্যের দিকে না গিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের দিকে যেতে থাকে। পরে হাত-পা ও মুখ বেঁধে চালকসহ তিনজন নির্যাতন করে বাস থেকে নামিয়ে দেয়। এঘটনার সুষ্টু তদন্তের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনসহ স্থানীয়রা। চিকিৎসক জানান, প্যাথলজি পরীক্ষার পর বিস্তারিত বলা যাবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে লক্ষ্মীপুরের তোরাবগঞ্জের ইসলামগঞ্জ বাজারের পাশে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে দুই বোন সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন ধর্ষিতা ও পরিবারের সদস্যরা।
ধর্ষণের শিকার বড় বোন জানায়, একই গ্রামের খোকন তাকে পছন্দ করতো। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ও ছোট বোনকে বাড়ির উঠান থেকে দুর্বত্তরা মুখ বেধে অপহরণ করে। পরে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে নির্যাতন চালায়।
শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাদের উদ্ধার করা হয়। পরে মেম্বারের কাছে বিচার চেয়ে তা না পাওয়ায় তোরাবগঞ্জের খোকন ও সিরাজকে প্রধান আসামী করে আরো ৩ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়।
জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন