বাংলাদেশে প্রতিবছর ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে আড়াই লাখ মানুষ, চিকিৎসা পাচ্ছে মাত্র ৫০ হাজার
প্রকাশিত : ১৩:৪০, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | আপডেট: ১৩:৪০, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
বাংলাদেশে প্রতিবছর ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে আড়াই লাখ মানুষ। অথচ চিকিৎসা পাচ্ছে মাত্র ৫০ হাজার। গবেষকরা বলছেন, সারাদেশে অন্তত ২০টি বিশেষায়িত ক্যান্সার নিরাময় কেন্দ্র হলে, চিকিৎসা পাবে বেশিরভাগ রোগীই। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা মাত্রই সঠিক পরামর্শ পেলে বাংলাদেশেই সুচিকিৎসা সম্ভব।
৭০ পেরুনো এই মুক্তিযোদ্ধা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিজের ভিটেমাটি বিক্রি করেও সুস্থ হতে পারেননি! চিকিৎসার জন্য চড়া সুদে ঋণ নিতে হয় তার পরিবারকে।
এ রকম অসংখ্য রোগী চিকিৎসা করাতে গিয়ে সহায় সম্বল হারিয়েছেন। জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতালে রোগীদের এমন ভিড় প্রতিদিনের। কিন্তু, রোগীর বিপরীতে আসন সীমিত হওয়ায় হাসপাতালে হচ্ছে না সংকুলান।
রোগীর অনুপাতে আরো বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতালের এই পরিচালক। পাশাপাশি ৩ বছরের মধ্যে এই রোগ মোকাবেলায় দৃশ্যমান অগ্রগতির আশাও করেন তিনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানালেন, জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে পূর্নাঙ্গ ক্যান্সার নিরাময় কেন্দ্র করা হবে।
মরনব্যাধী ক্যান্সার নিয়ে যেমন আছে কুসংস্কার, তেমনি বিশেষায়িত হাসপাতালের অভাবে সেবা পাওয়া নিয়েও আছে বিড়ম্বনা। তবে, তলপেট ব্যথা, অনিয়মিত পায়খানা, কারন ছাড়া ওজন কমে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
‘আমরাও পারি আমিও পারি’ এই শ্লোগানে এবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। এই ঘাতককে মোকাবেলায় শাক সবজি, গ্রীণ টি, রসুনসহ নিয়মিত সঠিক খাবার গ্রহণ এবং কায়িক পরিশ্রমের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন