টিপিপি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের বাণিজ্যেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে
প্রকাশিত : ২০:১৪, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | আপডেট: ২০:৪৬, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
বিশ্বের বৃহত্তম মুক্তবাজার গড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্ব অর্থনীতির ৪০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করা ১২টি দেশ। এজন্য তারা ‘ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ বা টিপিপি নামে যে চুক্তি করেছে, তা নিয়ে এরিমধ্যে কাজও শুরু হয়ে গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর বাস্তবায়ন হলে, শুধু সংশ্লিষ্ট দেশই নয়, বঙ্গোপসাগরের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশের বাণিজ্যেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
সব ঠিকঠাক থাকলে হয়তো এই শতকে ইতিহাস হয়ে থাকবে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড। কেননা, এখানেই ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করেছেন ১২ দেশের বাণিজ্য মন্ত্রী। নেপথ্যে নানা সমীকরন থাকলেও একেবারে দৃশ্যমান টার্গেট হলো বিশ্বের বৃহত্তম মুক্তবাজার গড়া। এ কারনেই বহু আলোচনার পর আলোর মুখ দেখেছে ‘ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ - টিপিপি’ বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় সহযোগিতা চুক্তি। এখনও সবকিছু চূড়ান্ত না হওয়ায়, জোটের সদস্যরা নিজ নিজ দেশে এই চুক্তি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করতে দু’বছর করে সময় পেয়েছে।
ওবামা প্রশাসন মনে করে, এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধিতে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার যোগ করবে। তবে, চুক্তির যারা বিরোধী, বিশেষ করে অনেক আমেরিকানই শঙ্কায় আছে এই ভেবে যে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে চাকরির বাজার উন্নয়নশীল দেশের দিকে চলে যাবে। ফলে তাদের কর্মসংস্থানের সংকট দেখা দিতে পারে, যা কাছাকাছি সময়ে সমাধান করা কঠিন হবে।
আশার কথা হলো, এই চুক্তি সই করা দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের কমবেশি বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। তাই এটি দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে বলেই মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।
টিপিপি জোটভুক্ত সদস্যরা হলো- যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রুনেই, চিলি, জাপান, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পেরু, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম। চুক্তি বাস্তবায়িত হলে বিশ্ব অর্থনীতির ৪০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করবে তারা। এসব দেশে সহযোগীদের পণ্য প্রবেশ করবে সাশ্রয়ী শুল্কে। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের লগ্নি অধিক নিরাপদ করার উদ্যোগও নেয়া হবে।
আরও পড়ুন