নিজামীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর
প্রকাশিত : ০৯:৩২, ১১ মে ২০১৬ | আপডেট: ০৯:৩২, ১১ মে ২০১৬
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। এর আগে স্বজনরা তার সঙ্গে শেষ দেখা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে নিজামীর লাশ তার গ্রামের বাড়ি পাবনায় নিয়ে যাওয়া হয়। বিস্তারিত জানাচ্ছেন দীপু সারোয়ার।
দিনভর টানটান উত্তেনার পর মঙ্গলবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে দিকে কার্যকর করা হয় মানবতাবিরোধী অপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদন্ড।
কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কারাগার থেকে আনা জল্লাদ রাজুসহ ৬ জল্লাদ নিজামীর ফাঁসি কার্যকরে সহায়তা করেন। ঢাকার জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, ভারপ্রাপ্ত আইজি প্রিজনসহ সংশ্লিস্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসির পর, মধ্যরাতেই দাফনের জন্য লাশ নিয়ে যাওয়া হয় পাবনায়। এর আগে রাত পৌনে ৮টার দিকে কারাগারে নিজামীর সাথে দেখা করেন স্বজনেরা। স্ত্রী শামসুন্নাহার নিজামী, বড় ছেলে ব্যারিস্টার নাজীব মোমেন, পুত্রবধূ, দুই নাতি, ছোট মেয়েসহ কয়েকজন দেখা করেন তার সাথে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে কারাগার থেকে বেরিয়ে যান তারা। তবে তারা কোন কথা বলেননি, কথা বলেছেন, নিজামীর আইনজীবী।
যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায়ের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিরাপত্তা অনেকটা নিচ্ছিদ্র রূপ নেয়।
সন্ধ্যা নাগাদ কারাগার এলাকার বিভিন্ন সড়কে যান ও জন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে এই নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়।
বুদ্ধিজীবী হত্যার পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও নের্তৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিজামীকে মৃত্যুদন্ড দেয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে এই বছরের ৬ জানুয়ারি আপিল বিভাগের রায়ে মৃত্যুদন্ডের সাজা বহাল রাখা হয়। তা পুনর্বিবেচনায় নিজামীর আবেদন গত ৫ মে খারিজ হয়ে যায়।
এরপর সোমবার রাতেই কনডেম সেলে থাকা নিজামীকে পুনর্বিবেচনা খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় পড়ে শোনায় কারা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন