প্রত্যাশিত সময়ে শেষ হচ্ছে না চাঞ্চল্যকর কোন মামলার তদন্ত
প্রকাশিত : ১১:৩৬, ১৪ মে ২০১৬ | আপডেট: ১১:৩৬, ১৪ মে ২০১৬
চাঞ্চল্যকর কোন মামলার তদন্তই প্রত্যাশিত সময়ে শেষ করতে পারছে না পুলিশ। এমনকি আসামি শনাক্ত, গ্রেপ্তার ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পাওয়ার পরও অনেক মামলার অভিযোগপত্র জমা দিতে দেরি করছে তদন্তকারী সংস্থা। আর এ’সব কারণে শুরু হচ্ছে না স্পর্শকাতর অনেক মামলার বিচার।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর গভীর রাতে আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে এভাবেই বোমা হামলা হয়।
চাঞ্চল্যকর এ’ ঘটনায় ১৩ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরমধ্যে ৩ জন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় অন্য ১০ জনের নামে শিগগিরই অভিযোগপত্র দেয়ার কথা বলছে তারা। তবে, কবে চার্জশিট দেয়া হবে তা বলতে পারছেন না গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর রাজশাহীর বাগমারায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে বোমা হামলায় আত্মঘাতি এক হামলাকারী নিহত হয়। চাঞ্চল্যকর এই মামলারও কোন অগ্রগতি নেই।
২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার লাশ উদ্ধার হয় ময়নামতি সেনানিবাস সংলগ্ন এলাকা থেকে। এ’ ঘটনায় জড়িতদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি।
২২ এপ্রিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় খুন হন সাধু পরমান্দ রায়। এই মামলার প্রধান আসামি শরিফুল শেখ জবানবন্দি দিয়েছেন। তারপরও অভিযোগপত্র কবে দেয়া হবে তা বলতে পারছে না পুলিশ।
২৫ এপ্রিল গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের কাছে অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে থাকা কারারক্ষী রুস্তম আলী হাওলাদারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডে জড়িতদেরও শনাক্ত করা যায়নি।
৩০ এপ্রিল টাঙ্গাইলের গোপালপুরে দরজি নিখিল চন্দ্র জোয়ারদারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ’ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও হত্যার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
৬ মে রাজশাহীর তানোরে জুমারপাড়া আমবাগান থেকে উদ্ধার হয় শহীদুল্লাহ নামে এক পীরের গলাকাটা লাশ। ধর্মভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন এ ঘটনার সাথে জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ।
চাঞ্চল্যকর এ’ধরণের মামলার তদন্ত বা বিচার দীর্ঘায়িত হওয়ায় সমাজে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে বলে মনে করেন আইন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন