ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

উৎপাদন খরচের চেয়ে বাজারদর কম

প্রকাশিত : ১১:২৮, ২৫ মে ২০১৬ | আপডেট: ১১:৩৮, ২৫ মে ২০১৬

উৎপাদন খরচের চেয়ে বাজারদর কম থাকায় এমনিতেই অস্বস্থিতে ধান চাষিরা। তার ওপর দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও আসছে ভারত থেকে চাল। ফলে আরো নিচের দিকে নামছে দর। আর সরকারের বেধে দেয়া দামেও সরাসরি ধান বিক্রি করতে পারছে না কৃষক। মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা হাতিয়ে নিচ্ছে সরকারের দেয়া সামান্য প্রনোদনাও। ফলে ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক। অথচ বেসরকারি খাত আর সরকারের সমন্বিত প্রয়াসে লাভবান হতে পারে কৃষক ও দেশ। বোরো ধানের একর প্রতি উৎপাদন খরচ ২৭ হাজার টাকা। উৎপাদন হয় ৫৫-৫৬ মণ। যার বাজার মূল্য ২৬ থেকে ২৭ হাজার টাকা। এতে প্রতি মন ধানের দাম পরে ৪৮২ টাকা। যা উৎপাদন খরচের প্রায় সমান। কোনো কোনো জায়গায় অনেক কম। দেশে ধানের মোট উৎপাদনের যৎ সামান্যই কেনে সরকার। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন। মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের দৌরাত্বে অসহায় কৃষক। ক্ষরার ওপর মরার ঘা এর মতো এরইমধ্যে ভারত থেকে আসছে চাল। ফলে বাজার দর আরো পড়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিচ্ছে। বেনাপোল কাস্টমস পরিসংখান বলছে, চলতি অর্থবছরে (২০১৫-১৬) ১৭ মে পর্যন্ত ১০ মাস ১৯ দিনে ভারত থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৭৪৫.২৯ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। যদি ধান চাষে লোকসানে পড়তে হয় কৃষককে, তবে অন্য চাষের দিকেই যাবে কৃষক। তখন চালের জন্য বাংলাদেশকে হতে হবে আমদানি মুখি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ি, গত ৪৪ বছরে দেশের ধান চাষের জমি কমেছে ১৮ শতাংশ আউশের চাষ কমেছে এক-তৃতীয়াংশ জমিতে। আর আমনের চাষ কমেছে ৪৪ শতাংশ। অথচ সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত প্রয়াসে লাভবান হতে পারে কৃষক। সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ব বাজারে শক্ত অবস্থান নিতে পারে বাংলাদেশ। ঘরে ফসল তোলা কৃষকের হাসি হতে পারে স্থায়ী। হাসতে পারে কৃষি অর্থনীতিতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি