ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

মসলিনকে ফিরিয়ে আনতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে উদ্যোগের তাগিদ বিশ্লেষকদের

প্রকাশিত : ১৫:৪৪, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | আপডেট: ১৫:৪৪, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী মসলিনকে ফিরিয়ে আনতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। সে সময়ের ফুটি কার্পাস তুলার পাশাপাশি প্রযুক্তি ও কারিগরী দক্ষতাকেও নতুন করে আবিস্কার করার পক্ষে মত তাদের। রোববার রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে মাসব্যাপী মসলিন উৎসবের আলোচনায় এসব কথা বলেন বিশ্লেষকরা। বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য মসলিনের সুনাম একসময় ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বিশ্বজুড়ে। মেঘনা, শীতলক্ষ্যা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় চাষ হওয়া ফুটি কার্পাস তুলা থেকে তৈরি মিহি সুতাই ছিল মসলিনের উৎস। কিন্তু দুই শতাব্দির উপনিবেশিক শোষন ও দুর্ভিক্ষে একসময় বাংলায় বন্ধ হয়ে যায় এ তুলার চাষ। ফলে মসলিন এখন পাওয়া যায় শুধুই জাদুঘরে। এ শিল্পকে আবারে ফিরিয়ে আনতেই রাজধানীতে চলছে মাসব্যাপী মসলিন উৎসব। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবারের আলোচনায় বক্তারা বলেন, মসলিনকে আবার ফিরিয়ে আনতে হলে সবার আগে এ তুলাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। সেই সঙ্গে আবারো তৈরী করতে হবে কারিগর। পাশাপাশি প্রয়োজন এ সংক্রান্ত যাদুঘর ও ট্রাষ্ট। তবে গোটা প্রক্রিয়াটি সমন্বিত ভাবে হতে হবে বলে মত সিপিডির এই গবেষকের। সপ্তদশ শতাব্দি পর্যন্ত বিশ্ববাজারে বাংলার প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিল মসলিন। পুরনো এ ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে পারলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও নতুন সম্ভবনার দার খুলে যাবে বলে মনে করেন এ গবেষক।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি