বোরো থেকে সয়াবিন আবাদে ঝুঁকবে কৃষক
প্রকাশিত : ১৭:৪৭, ১৭ এপ্রিল ২০১৮
২০১৮-১৯ বিপণন বর্ষে (জুলাই-জুন) দেশে বোরো ধান আবাদের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিতে পারেন অনেক কৃষক। আর বিকল্প পণ্য হিসেবে সয়াবিন উৎপাদনের দিকে মনোযোগী হয়ে উঠতে পারেন তারা। কারণ এ সময় সয়াবিন উৎপাদন ও আমদানি দুটোই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে কৃষি পণ্যটির আবাদ এলাকার পরিমাণও। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
তবে ইউএসডিএর প্রতিবেদনে চলতি ২০১৭-১৮ বিপণন বর্ষে সয়াবিন আবাদ ও উৎপাদন কমতির দিকে থাকবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। ইউএসডিএর তথ্যমতে, চলতি বিপণন বর্ষে দেশে সয়াবিনের আবাদি এলাকার পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৬০ হাজার হেক্টরে। অন্যদিকে এ আবাদ থেকে কৃষিপণ্যটির মোট উৎপাদন দাঁড়াবে ১ লাখ ১৪ হাজার টনে। মূলত আবাদ মৌসুমের প্রতিকূল আবহাওয়া ও বাড়তি উৎপাদন খরচের কারণে কৃষকরা এ সময় সয়াবিনের বদলে বোরো ধান আবাদেই বেশি আগ্রহী থাকবেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, গবাদিপশু পালন, পোলট্রি ও মত্স্য খাতের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে পশুখাদ্য ও ফিড শিল্পের বিকাশ ঘটছে। সেইসঙ্গে এসব শিল্পে কাঁচামাল হিসেবে সয়াবিনের চাহিদাও এখন বাড়তির দিকে। ক্রমবর্ধমান এ শিল্প চাহিদা মেটানোর জন্যই সয়াবিন আমদানি বাড়াতে চলেছে বাংলাদেশ।
একে//টিকে
আরও পড়ুন