এশিয়া থেকে ইউরোপ, প্রকাশ্যে দাসত্ব
প্রকাশিত : ১৩:২০, ১ জুন ২০১৬ | আপডেট: ১৩:২০, ১ জুন ২০১৬
আধুনিক যুগেও দাসত্বের শেকলে বন্দি বিশ্বের সাড়ে ৪ কোটি মানুষ। এশিয়া থেকে ইউরোপ, প্রকাশ্যে চলছে দাসত্ব। আজ গ্লোবাল স্লেভারি ইনডেক্স - ২০১৬-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। তালিকায় জনসংখ্যার দিক থেকে আনুপাতিক হারে উত্তর কোরিয়া শীর্ষে থাকলেও দাসত্বের সংখ্যায় এগিয়ে ভারত। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, নারী, শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ আধুনিক দাসত্বের শিকার।
সময়ের পরিবর্তনে সভ্যতারও পরিবর্তন। আধুনিকতা স্পর্শ করছে পুরো বিশ্বকে। তবে এই পরিবর্তনের যুগেও লুকিয়ে রয়েছে দাসত্ব নামের কলংক। বাড়ছে আধুনিক দাসত্বের এই বেড়াজালে আটকা পড়াদের সংখ্যা।
জোর করে বা হুমকি দিয়ে শ্রম দিতে বাধ্য করাই আধুনিক দাসত্বের মূলে রয়েছে। এরমধ্যে বিয়ে চাপিয়ে দেয়া, পাচারের শিকার বা যৌনকর্মী হতে বাধ্য করা বা ঋণগ্রস্ত হওয়ার সংখ্যাই বেশি।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক সংস্থা ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত গ্লোবাল স্লেভারি ইনডেক্স-২০১৬ এর তথ্য বলছে, বিশ্বে আধুনিক যুগের ক্রীতদাসের সংখ্যা সাড়ে ৪ কোটি। এরমধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেই এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারত, এখানে প্রায় দুই কোটি মানুষ দাসত্বের শিকার। এরপরই রয়েছে উত্তর কোরিয়া।
বাংলাদেশেও আধুনিক দাসত্বের শেকলে আটকা পড়া মানুষের সংখ্যা কম নয়। দেড় কোটিরও বেশি মানুষ এই মানবতাবিরোধী প্রথার শিকার। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পরই রয়েছে চীন, পাকিস্তানে ও উজবেকিস্তানের অবস্থান।
বেড়েছে মানবপাচারও। জাতিসংঘের প্রটোকল ভেঙ্গে প্রায় ১২৪টি দেশ এই অপরাধ করছে। যদিও ৯৬টি দেশ মানবপাচার বন্ধে উদ্যোগ নিয়েছে। ১৬৭টি দেশের ওপর সমীক্ষা চালায় ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন