অপরাধীদের আঙ্গুল ও চোখের বায়োমেট্রিক ছাপ এখন থেকে সংরক্ষিত হবে র্যাবের ডাটাবেজে
প্রকাশিত : ১৯:১৯, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | আপডেট: ১৯:১৯, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
অপরাধীদের আঙ্গুল ও চোখের বায়োমেট্রিক ছাপ এখন থেকে সংরক্ষিত হবে র্যাবের ডাটাবেজে। সকালে র্যাব সদরদপ্তরে এই ডাটাবেজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এরফলে দ্রুত অপরাধী সনাক্ত করা যাবে উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, ভবিষ্যতে সরকারী চাকরিজীবিদের তথ্যও এভাবে সংরক্ষন করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক অপরাধীকে জেলে পাঠানোর সময় ২০০ ধরনের তথ্য নেয়া হবে। যাতে থাকবে হাতের ১০ আঙুল ও দুই চোখের বায়োমেট্রিক ইমেজ। এসময় সংরক্ষিত হবে ছবি, নাম, ঠিকানা ও পেশা। আর যা যাচাই বাছাই হবে জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্টের সঙ্গে মিলিয়ে। অপরাধীদের এমন তথ্য সংক্ষনের জন্য হয়েছে ডাটাবেজ।
র্যাব সদর দপ্তরে এই ডাটাবেজের উদ্বোধন করা হয়। বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসানের তত্ত্বাবধানে ৫বছরের চেষ্টায় এটি তৈরি হয়েছে। যা পরিচালনায় দায়িত্বে থাকবে র্যাব ও কারাকর্তৃপক্ষ।
উন্নত বিশ্বের আদলে তৈরী এই ডাটাবেজের মাধ্যমে নজরদারিতে থাকবে অপরাধীদের সব তথ্য।
১. অপরাধের ধরন অনুযায়ী সব জেলার অপরাধীর সংখ্যা এবং জেলে অবস্থানরত অপরাধীদের সংখ্যা জানা যাবে।
২. কোন অপরাধী কি অপরাধে কতবার আটক হয়েছে তার বিবরণ জানা যাবে।
৩. ভূয়া পাসপোর্ট করে কোন অপরাধী দেশ ত্যাগের চেষ্টা করলে সহজে ধরা যাবে।
৪. কোন অপরাধী ছদ্দবেশ ধারন করলে সহজে চিহ্নিত হবে।
৫. জেল পরিবর্তন অথবা চিকিৎসারত অপরাধীদের বিষয়ে জানা যাবে।
অপরাধী সনাক্ত করতে এখন থেকে ছোট আকারের ডিভাইজ থাকবে র্যাবের টহল দলের কাছে। যাতে দ্রুত সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে অপরাধীদের।
এই ডাটাবেজের ফলে দেশে অপরাধ প্রবনতা কমবে বলে আশা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
এরফলে দেশের ডিজিটালইজেশনের আরেক ধাপ অগ্রগতি হল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন