শিশু মৃত্যু শূন্যে নামানোর অঙ্গীকার থাকবে ইশতেহারে
প্রকাশিত : ২০:১১, ২৫ এপ্রিল ২০১৮
আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে শিশু মৃত্যুর হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার অঙ্গীকার যুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। বুধবার ‘প্রতিটি নবজাতককে বাঁচাতে হবে: প্রয়োজন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বড় একটা অঙ্গীকার থাকবে, যেকোনো মূল্যে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চাই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য হিসেবে এটা বলে যাচ্ছি।’
বাংলাদেশে গত শতাব্দীতে শিশু মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমলেও নবজাতকের মৃত্যুহার এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রতিদিন ১৭০টি শিশুর মৃত্যু হয়। যাদের বয়স চার সপ্তাহের কম। কেবল তিনটি সহজ বিষয় নিশ্চিত করতে পারলে এর ৮৮ শতাংশ মৃত্যু সহজেই ঠেকানো সম্ভব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে চাই। বাল্য বিয়ে যত বন্ধ করতে পারব তত বেশি নিরাপদ মাতৃত্ব … আমরা বাল্য বিয়েকে নিরুৎসাহিত করছি। একজন মেয়েকে সন্তান ধারণের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ৬০০ ধাত্রী নিয়োগের বিষয়টি তুলে ধরে নাসিম বলেন, তাদের ইউনিসেফ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য সেই প্রশিক্ষিত ধাত্রীদের গ্রামে পাঠানো হচ্ছে, হেলথ ক্যাম্প হচ্ছে।
প্রসূতির স্বাভাবিক প্রসব না করিয়ে অস্ত্রোপচারের প্রবণতার কঠোর সমালোচনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অনেকে মনে করেন সিজার করলে নিরাপদ মাতৃত্ব হবে। একবার সিজার করলে বার বার সিজার করতে হয়। এছাড়া মৃত্যু ঝুঁকি থাকে।
বেসরকারি হাসপাতালের এই প্রবণতা ঠেকাতে সরকার কোনো উদ্যোগ নেবে কি না জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিজার যারা করতে যায় তার কিন্তু কিছুটা শিক্ষিত মানুষ, পয়সা-কড়িও আছে তাদের। তারা মাতৃত্বের বেদনা সহ্য করতে চায় না, নয় মাস বেদনা সহ্য করে আর প্রসব বেদনা সহ্য করতে চায় না।’
তিনি বলেন, ‘অভিভাবকদের দায়িত্ব নিতে হবে, মা-বোনদের দায়িত্ব নিতে হবে। ছয় মাস বুকের দুধ খাওয়াতে হবে, মায়ের দুধ অমৃতের সমান এটা থেকে অনেকে সরে আসে, এ নিয়ে কেন ক্যাম্পেইন করতে হবে? বাংলাদেশে শিশু খাদ্যের বিজ্ঞাপনের ভাষা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে গণমাধ্যম উদ্যোগ নিলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাতে সমর্থন দেবে বলে জানান নাসিম।
কেআই/
আরও পড়ুন