ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

চলে গেলেন জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০২, ১০ মে ২০১৮

বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, ভাষাসৈনিক ও জাতীয় অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম আর নেই। গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে রাজধানীর বসুন্ধরার নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তিনি দুই ছেলে, দুই মেয়ে, নাতি-নাতনিসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তার ব্যক্তিগত নার্স মো. সাজেদুর রহমান জানান, অ্যাপোলো হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহ রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে জানাজা ও দাফনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

সাজেদুর রহমান বলেন, এপ্রিলের শুরু থেকেই শয্যাশায়ী ছিলেন অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম স্যার। অ্যাপোলো হাসপাতালের দু’জন নার্স সবসময় তার বাসায় থেকে তাকে দেখাশোনা করতেন। ডায়াবেটিক, প্রেশারসহ কিছু জটিলতা ছিল। তার পায়ে ব্যথাও ছিল অনেকদিন থেকে। এ কারণে প্রায় চার বছর থেকে আমি তার সঙ্গে থেকে তাকে হাঁটা-চলাফেরা থেকে শুরু করে কিছু ব্যায়াম করানোর মাধ্যমে সুস্থ রাখার চেষ্টা করতাম। কিন্তু গত একমাসের মতো সময় থেকে তিনি আর হাঁটতে পারতেন না, বিছানায় পড়ে যান।

উল্লেখ্য, বগুড়ায় ১৯২৭ সালের ১ মে মুস্তাফা নূরউল ইসলামের জন্ম। কর্মজীবনে শিক্ষকতা করেছেন সেন্ট গ্রেগরিজ ও পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ, করাচি, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং জাতীয় জাদুঘরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা প্রায় অর্ধশত। টেলিভিশনের অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় বিশেষ মাত্রা যোগ করেছেন তিনি। স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। সাহিত্য ও শিল্পকলায় অবদানের জন্য তিনি ২০১০ সালে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ অর্জন করেন। ২০১১ সালে তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ‘সুন্দরম’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।   তার মৃত্যুতে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর শোক প্রকাশ করেছেন।

একে// এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি