মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৭:০৫, ২৫ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১৭:১২, ২৫ জুন ২০১৮
দেশের চলমান মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল। তিনি বলেন, অভিযানে কাউকে হত্যা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা কাউকে হত্যা করছি না। যাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। যতদিন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে না আসবে ততদিন এ অভিযান চলবে।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষে আজ সোমবার সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব তথ্য জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেখানে অবৈধ ব্যবসা, সেখানে অবৈধ টাকা, সেখানেই অবৈধ অস্ত্র। তাই এ ক্ষেত্রে জীবন বাঁচাতে গোলাগুলি হওয়াটা স্বাভাবিক। অপরাধীরা গুলি ছুঁড়লে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি ছোঁড়ে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিযান শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট ও আদালতের মাধ্যমে মাদক সংশ্লিষ্টদের বিচারের মুখোমুখি করে ২২ হাজার জনকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছে।
অভিযান শুরুর পর জড়িতদের অনেকে অবস্থান ত্যাগ করেছে বা সরে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় লিখিত বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ১৯ হাজার ৫৬টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এর মধ্যে মামলা হয়েছে ৫ হাজার ৪৭৮টি। আসামি ৬ হাজার ১৩২জন। এসময়ে ১২ লাখ ২৯ হাজার ৪৪১টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ১১ হাজার ৩২৫ বোতল ফেনসিডিল, ৫ হাজার ৫৪১ কেজি হিরোইন, ১ হাজার ৬৮২ দশমিক ৬৯১ কেজি গাঁজা এবং ৫ হাজার ৪৭১ এ্যাম্পুল ইনজেকটিং ড্রাগ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মোবাইল কোর্ট আইনে ৪ হাজার ৭৫৪টি অভিযান পরিচালনা করে ২ হাজার ৪৪৮ জনকে গ্রেফতার এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবারের কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলা হয়, ২৬ জুন সকাল ১০টায় ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মাদকবিরোধী দিবসের মূল অনুষ্ঠান হবে। এসময় আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণীর ব্যবস্থা থাকছে। এর আগে সকাল ৮টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু করে কদম ফোয়ারা হয়ে মৎসভবন পর্যন্ত মাদকবিরোধী মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে। সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশও এ দিবস পালন করবে।
এবারের মাদকবিরোধী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘আগে শুনুন: শিশু ও যুবাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়াই তাদের নিরাপদ বেড়ে ওঠার প্রথম পদক্ষেপ।’
আরকে//
আরও পড়ুন