ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শব্দদূষণে উচ্চরক্ত চাপ, ষ্ট্রোক, ফুসফুসে ক্যান্সারসহ নানা ঝুঁকিতে রাজধানীবাসী

প্রকাশিত : ১২:৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | আপডেট: ১২:৩৪, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

রাজধানীতে বাড়ছে শব্দদূষণ। বেশিরভাগ আবাসিক এলাকাতেই সহনীয় মাত্রার তুলনায় অনেক বেশি শব্দ হচ্ছে। মূলত: নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ণের কারণেই ঢাকায় শব্দের গড় মাত্রা ৯৫ ডেসিবল। যদিও শব্দের সহনীয় মাত্রা ৫০ ডেসিবল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে শ্রবণ শক্তি কমার পাশাপাশি উচ্চরক্ত চাপ, ষ্ট্রোক, অনিদ্রা ও ফুসফুসে ক্যান্সারসহ নানা রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে মানুষ। রাজধানীর প্রায় প্রতিটি রাস্তায় অকারণেই হর্ন বাজাচ্ছেন চালকরা। ওভারটেক করতে চলে হর্ন বাজানোর প্রতিযোগিতা। আর সিগন্যাল ছাড়ার আগে হর্নের শব্দে কান ঝালাপালা। শব্দ দূষণ প্রতিরোধে ২০০৬ সালের আইনে আবাসিক এলাকায় সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শব্দের সর্বোচ্চ সীমা ৫৫ ডেসিবেল, রাত ৯টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৫ ডেসিবেল, নীরব এলাকার জন্য এই শব্দসীমা কোথাও ৫০ আবার কোথাও ৪০ ডেসিবেল, বাণিজ্যিক এলাকায় অঞ্চলভেদে ৭০ ও ৬০ ডেসিবেল এবং শিল্প এলাকায় শব্দের মাত্রা ৭৫ ও ৭০ ডেসিবেল নির্ধারণ করা হয়। আইনটি সঠিকভাবে মানছে কি কেউ? আইন অনুযায়ী অপ্রয়োজনে হর্ণ বাজালে ২শ টাকা জরিমানার বিধান আছে। তবে এ ব্যাপারে সচেতন নয় ট্রাফিক পুলিশ। শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ পথচারিরা প্রতিকারে তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে। শব্দ দূষণে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে আছেন রাজধানীবাসী। সবাই আইন মানলে একইসঙ্গে প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সচেতন হলে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি