ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

কিছু কিছু স্থানে পানি কমতে শুরু করলেও উত্তরাঞ্চলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

প্রকাশিত : ১৪:৩৪, ৩ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১৪:৩৪, ৩ আগস্ট ২০১৬

যমুনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে উত্তরাঞ্চলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি। আর কিছু কিছু স্থানে কমতে শুরু করেছে পানি। এদিকে উপদ্রুত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগসহ চর্মরোগ। রয়েছে বিশুদ্ধ পানি আর খাবার সংকট। টাঙ্গাইলে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদীর পানি। যমুনা ও ধলেশ্বরীর শাখানদীগুলোর পানি বাড়ার কারণে গোপালপুর, ভুঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলায় বন্যার কবলে পরেছে নতুন নতুন এলাকা। বন্যার পানিতে নিকরাইল বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে গোবিন্দাসী বাজার। যমুনার পানি কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কমেনি সিরাজগঞ্জের বানভাসী মানুষের। এখনো প্রায় ৩ ফুট পানির নিচে আছে বন্যা দুর্গত চৌহালী, কাজিপুর, বেলকুচি, এনায়েতপুর, শাহাজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার অর্ধ লক্ষাধিক ঘর-বাড়ি। পানিবন্দী হয়ে কাটছে লাখ-লাখ মানুষের দিন। সরকারী ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও তা খুবই নগন্য। এদিকে এনায়েতপুরের চরাঞ্চল ও আশপাশের এলাকায় নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগ। দুর্গত এলাকার বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে স্থানীয় চিকিৎসকেরা। গাইবান্ধায় তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ প্রায় সব নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ির ২শ ৪৫টি গ্রামের প্রায় ২ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ। তীব্র সংকট রয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের। মুন্সিগঞ্জে পদ্মার পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী তিনটি উপজেলার নিন্মাঞ্চলের প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে শত শত একর জমির ফসল। এদিকে জামালপুরের মেলান্দহের ফুলকোচা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বন্যা দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি