ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে, বাড়ছে পানিবাহিত রোগ

প্রকাশিত : ১২:০২, ৬ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১২:০২, ৬ আগস্ট ২০১৬

দেশের অধিকাংশ স্থানে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে, বাড়ছে পানিবাহিত নানা রোগ। সংকট দেখা দিয়েছে গবাদী পশুর খাবারের। অনেকেই এখনও বাস করছেন উঁচু বাঁধ বা সড়ক-মহাসড়কে। এদিকে, পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে গাইবান্ধা ও রাজবাড়ীতে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী-ভাঙন। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে গাইবান্ধায় শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। গেলো কয়েক দিনে বন্যা ও ভাঙনে সহায়-সম্বল হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়েছে ২ শতাধিক পরিবার। মাইকিং করে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে এলাকাবাসী। রাজবাড়ির দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় রাক্ষুসী রূপ নিয়েছে পদ্মা। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে অন্তত ৩০টি পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে নদীগর্ভে। হুমকির মুখে রয়েছে দৌলতদিয়ার সব ক’টি ফেরি ঘাট। এদিকে, অস্বাভাবিক জোয়ারে ভোলায় তলিয়ে গেছে অনেক এলাকা। দিনের বেশিরভাগ সময় ডুবে থাকছে ৭ উপজেলার অনেক ঘরবাড়ি ও ক্ষেতের ফসল। প্লাবিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকটসহ দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ। পিরোজপুরের জিয়ানগরে কঁচা ও বলেশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে শত শত একর জমির ফসল; পানিবন্দী ১০ গ্রামের শতাধিক পরিবার। বাগেরহাটে ভৈরব নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি গ্রাম। বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনটে যমুনা পাড় ও চরাঞ্চলের বানভাসীরা বাঁধের উপর আশ্রয় নিলেও গবাদি পশু নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও জামালপুরের ৬ উপজেলা ও ফরিদপুরের ৩টি উপজেলার অনেকেই ঘরে ফিরতে পারেনি। উঁচু বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্রে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। কুড়িগ্রামে এখনও পানিবন্দী চিলমারী উপজেলার অন্তত ২০ হাজার মানুষ।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি