ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৩ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অতি বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ-ভারত-নেপালে দেখা দিয়েছে বন্যা

প্রকাশিত : ১২:৩১, ৬ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১২:৩১, ৬ আগস্ট ২০১৬

Ekushey Television Ltd.

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অতি বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ-ভারত-নেপালে দেখা দিয়েছে বন্যা। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এসব পানি গঙ্গা হয়ে বাংলাদেশে নেমে আসলে নতুন-নতুন এলাকাসহ প্লাবিত হতে পারে রাজধানী ঢাকার নিম্নাঞ্চলও। সেই সাথে বাড়বে স্বাস্থ্যঝুঁকি। এমন অবস্থায় আগাম প্রস্ততির তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। বন্যা কবলিত বেশীরভাগ এলাকায় বিপদসীমার ৭-১০ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নেপাল ও ভারতের অতিবৃষ্টিই এর কারণ। ঐসব অঞ্চলে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে এ সপ্তাহের মধ্যেই ডুবে যেতে পারে দেশের বেশির ভাগ অঞ্চল, প্লাবিত হতে পারে রাজধানী ঢাকার নিম্নাঞ্চল। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৮ সালে জামালপুরে পানি প্রবাহিত হয়েছিল বিপদসীমার ২০ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, এবছর, তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৭১ সেন্টিমিটার। কুড়িগ্রাম জেলায় এবছর ২৪ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হলেও ১৯৮৮ সালে তা ছিল ২৫ দশমিক ০৭ সেন্টিমিটার পূর্বাভাস বলছে আগামী বেশ কিছুদিন এই ধারা অব্যাহত থাকবে। বিশেষজ্ঞ বলছেন নাসা, ইসিমুডসহ দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার আবহাওয়া বিষয়ক জোট মুনসুন ফোরাম-এর পূর্বাভাস, এ অঞ্চলে হতে পারে ভারি বৃষ্টি। সেক্ষেত্রে রাজধানির চারপাশের নদীগুলোর দূষিত পানি তৈরী করতে পারে বড় ধরনের বিপর্যয়। আর মহামারি আকারের এই বন্যাশঙ্কায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাও হতে পারে তীব্র। তাই ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে হবে এখুনি। নিতে হবে আগাম প্রস্তুতি। এছাড়া কলকারখানার বর্জ্যমিশ্রিত দূষিত পানি ব্যবহারে হতে পারে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ-ব্যাধি। নব্যতা সংকট আর জলাশয় ভরাট হওয়ায় প্রতিবছরই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় দেশের নানা অঞ্চল। ভয়াবহ বন্যা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হবে, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি