ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ ৫ জনের মৃত্যুর ৫ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি মামলা, আসামী বাস চালক ফিরেছে মহাসড়কে

প্রকাশিত : ১২:১৯, ১৩ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১৫:০৬, ১৯ আগস্ট ২০১৬

সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ এবং এটিএন নিউজের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিশুক মুনীরসহ পাঁচজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর পাঁচ বছর পেরোলেও নিষ্পত্তি হয়নি মামলার। আসামী বাস চালক জামিনে মুক্ত হয়ে ফিরেছে মহাসড়কে। ঘাতক চালকদের বিচার না হলে মহাসড়কে মৃত্যু রোধ করা কঠিন হবে বলে মনে করেন নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন করা অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। দেশে ও দেশের বাইরে নিজেদের কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিশুক মুনীর। ২০১১ সালের ১৩ আগষ্ট মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার সালজানা গ্রামে গিয়েছিলেন কাগজের ফুল ছবির শ্যুটিংয়ের জায়গা দেখতে। শ্যুটিং স্পট দেখে ঢাকা ফেরার পথে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীরসহ পাঁচ জন। মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনার ৫ বছর পেরোলেও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। জামিন পেয়ে ঘাতক বাসচালক জামির হোসেন ফিরে গেছেন মহাসড়কে। ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে মহাসড়ক নিরাপদ করা সম্ভব নয় বলেও মনে করেন ইলিয়াস কাঞ্চন। ওই দুর্ঘটনায় আহত ঢালী আল মামুনের পরিকল্পনায় গাড়ির ধ্বংসাবশেষ দিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের সড়ক দ্বীপে গড়ে উঠেছে ‘সড়ক দুর্ঘটনা স্মৃতি স্থাপনা’। তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীরের মতো প্রতিভাবান আর কেউ যেন এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর শিকার না হন। এ বার্তাটিই দিচ্ছে স্থাপনাটি।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি