জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী ৫ জনের ফাঁসি কার্যকর হলেও পলাতক ৬ জন
প্রকাশিত : ১৪:৪১, ১৫ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১৯:৩২, ১৫ আগস্ট ২০১৬
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারী ৫ জনের ফাঁসি কার্যকর হলেও ৬ জন বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে। ইতিহাসের নৃশংস এ হত্যাকান্ডের ৪১ বছর পরও খুনীদের ফাঁসির দন্ড কার্যকরে আশ্রয়দাতা দেশগুলোর সহযোগিতা মেলেনি। তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকরের চেষ্টা করছে সরকার।
পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট ভোরের আলো ফোটার আগেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে স্বপরিবারে হত্যা করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
ইতিহাসের নৃশংসতম এ হত্যাকান্ডের পর ক্ষমতাসীনদের উদাসীনতায় প্রকৃত খুনীরা ২১ বছর ধরাছোয়ার বাইরে ছিলো। বরং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তাদেরকে লালন করা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও পিছিয়ে যায় বিচার প্রক্রিয়া।
২০০৯ সালে পুনরায় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার কার্যক্রমে গতি পায়। ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ৫ খুনী কর্ণেল (অব:) সৈয়দ ফারুক রহমান, কর্ণেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, লে. কর্ণেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমদ, মেজর (অব.) এ কে বজলুল হুদা এবং মেজর (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর হয়।
চিহ্নিত বাকী ৭ জনের মধ্যে আব্দুল আজিজ ২০০১ সালের ২ জুন জিম্বাবুয়েতে পলাতক অবস্থায় মারা যায়।
আর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাস করছে বাকী ৬ খুনী। এদের মধ্যে লে. কর্ণেল খন্দকার আব্দুর রশীদের লিবিয়ায় আছে। মাঝে মাঝে পাকিস্তানে যাতায়াত করে।
কেনিয়াতে মেজর শরিফুল হক ডালিমের ব্যবসা থাকলেও লিবিয়া ও পাকিস্তানে যাতায়াত আছে তার।
ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ পাকিস্তান ও লিবিয়ায় থাকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন জার্মানীতে বসবাস করছে।
লে. কর্ণেল রাশেদ চৌধুরী রাজনৈতিক আশ্রয়ে বাস করছে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসে।
আর কর্ণেল নূর চৌধুরী জার্মানী ঘুরে এখন কানাডায়। তাদেরকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের চেষ্টা করছে সরকার।
মন্ত্রণালয় গঠিত টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বিদেশে অবস্থানরত খুনীদের ফিরিয়ে আনতে ওইসব দেশের সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন