রোহিঙ্গা সঙ্কট সামাল দিতে দূরদর্শিতা
নিউইয়র্কে দুই পুরস্কার পাচ্ছেন শেখ হাসিনা
প্রকাশিত : ১৫:৩৬, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৬:২৩, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮
ফাইল ছবি
সাত লক্ষাধিক নিপীড়িত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে আশ্রয় দিয়ে নজির স্থাপন করায় এবং এ সঙ্কট সামাল দিতে দূরদর্শী ভূমিকা রাখায় নিউইয়র্কে দুটি পুরস্কার পাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন চলাকালে এ দুটি পুরস্কার দেবে প্রেস সার্ভিস নিউজ এজেন্সি এবং ‘গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন’র পরিচালনা পর্ষদ। এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
প্রধানমন্ত্রীর সফর সম্পর্কে জানাতে আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে ‘নজির স্থাপন করায়’প্রেস সার্ভিস নিউজ এজেন্সি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এবার ‘ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ দেবে।
এছাড়া রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানে ‘দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে’দাতব্য সংগঠন ‘গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন’র পরিচালনা পর্ষদ শেখ হাসিনাকে ‘স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ’অ্যাওয়ার্ড দেবে।
জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান ও বুট্রোস বুট্রোস-ঘালি এবং ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মার্তি আহতিসারি এর আগে এ পুরস্কার পেয়েছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে লন্ডনে একদিন যাত্রাবিরতি করে রোববার নিউ ইয়র্কে পৌঁছাবেন।
এবারের সফরে তিনি ৫০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। ব্যবসায়ীদের ২০০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও তার সঙ্গে যাবে।
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের এবারের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘মেকিং দি ইউএন রিলেভেন্ট টু অল পিপল: গ্লোবাল লিডারশিপ অ্যান্ড শেয়ারড রেসপনসিবিলিটিস ফর পিসফুল, ইকুইটেবল অ্যান্ড সাসটেইনেবল সোসাইটিস’।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই সমাধানের জন্য চ্যালেঞ্জগুলো এবারের সাধারণ অধিবেশনে তুলে ধরবে বাংলাদেশ।
মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনের মুখে গত বছরের ২৫ অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে আসা আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গার ভার বাংলাদেশ বহন করে চলেছে কয়েক দশক ধরে।
পৃথিবীর সব দেশ যেখানে উদ্বাস্তু-শরনার্থীদের জন্য দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে সেখানে এগার লক্ষাধিক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে গতবছরের শেষ দিকে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি করলেও এখনও প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি।
/ এআর /
আরও পড়ুন