আউটসোর্সিং খাত থেকে আয় ছাড়িয়ে যাবে গার্মেন্টস শিল্পকেও
প্রকাশিত : ১১:২৩, ২০ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১২:১৭, ৪ এপ্রিল ২০১৭
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রপ্তানী আয়ের প্রায় চারভাগের একভাগই আসে ফ্রিল্যান্স এর মাধ্যমে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববাজারের মাত্র পাঁচ শতাংশ শেয়ার নিতে পারলেও এ খাত থেকে আয় ছাড়িয়ে যাবে দেশের সবচেয়ে বড় খাত গার্মেন্টস শিল্পকেও। আগামী দুই বছরে এ খাতে পেশাজীবীর সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। বর্তমানে আউটসোর্সিং খাতে বিশ্ববাজারটি প্রায় ৪৪ হাজার তিনশো কোটি ডলারের । প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে পরিধি, বাড়ছে কাজের ক্ষেত্র । বিশ্ববাজার থেকে বাংলাদেশের ফ্রি-ল্যান্সারদের আয়ের প্রবৃদ্ধি প্রায় দশ শতাংশ; আর সে হিসেবে এবছর আয়ের সম্ভবনা রয়েছে প্রায় এক লাখ ষাট হাজার কোটি টাকা । আউটসোর্সিং খাতে পরিচিত হবার মাত্র তিনবছরের মাথায় ২০১২ সালে ৩৬৫ কোটি টাকারও বেশী আয় করে রীতিমত তাক লাগিয়ে দেয় বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা । মাত্র তিন বছরের মাথায় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেস ওডেক্সের দশ শতাংশ কাজ করে এর শীর্ষতালিকায় তিন নম্বরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ । ইতোমধ্যে আমাজন, ইবেসহ প্রভাবশালী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আস্থাও অর্জন করেছে দেশের ফ্রিল্যান্সাররা; বিশেষজ্ঞরা বলছেন;এই পেশায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন যেমন জুরুরি একইসাথে দরকার তারভিত্তিক দ্রুত গতির ইন্টারনেট । পাশাপাশি কাজ পাবার ক্ষেত্রে পরিবর্তন দরকার ফ্রি-ল্যান্সারদের দৃষ্টিভঙ্গির। চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে জাতীয় বাজেটে বরাদ্ধসঢ়; বেড়েছে আইসিটি খাতের । আর তাই ২০১৮ সাল নাগাদ ১০ লাখের বেশী তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পেশাজীবি তৈরির স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন