ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও মুক্ত: প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৫৭, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১০:৩৮, ১ অক্টোবর ২০১৮

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন মুক্ত ও স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। এ নির্বাচন কমিশন একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজন করতে সক্ষম বলে মন্তব্য করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতাও কামনা করেছেন তিনি। সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে সাক্ষাতকারে তিনি এমন্তব্য করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৭৩ তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিতে আসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সরকার কবীরূদ্দীন।

সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো- ভয়েস অব আমেরিকা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেমন সাড়া পাবেন বলে মনে করছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: আওয়ামী লীগের জন্মই হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জন্য। আমার স্লোগান ছিল- আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। এই স্লোগান দিয়ে মানুষকে ভোটের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে পেরেছি। গত পাঁচ বছরে ছয় হাজার নির্বাচন হয়েছে। এসব নির্বাচনে মানুষ পছন্দ মতো প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে। সামনের নির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এবং মানুষ ভোট দিয়ে পছন্দের সরকার গঠন করবে।

ভয়েস অব আমেরিকা: আপনি যদি আজকে বিরোধী দলে থাকতেন তাহলে আজকের নির্বাচন-পূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি কীভাবে দেখতেন? নির্বাচন কমিশনকে কেমন ধারার মনে হতো? আপনার দৃষ্টিতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড মনে হতো কিনা- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: আগে সরকার ইচ্ছেমতো নির্বাচন কমিশন গঠন করতো। এখন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয় একটা সার্চ কমিটির মাধ্যমে। নির্বাচন কমিশন গঠনে স্বচ্ছতা আনা হয়েছে। অবশ্যই দেশে নির্বাচনের পরিবেশ আছে। এ নির্বাচন কমিশন একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সক্ষম হবে।

ভয়েস অব আমেরিকা: অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেক অর্জনের পাশাপাশি অর্থপাচার, ঋণখেলাপি, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ, গুম, খুন নিয়ে বিস্তর অভিযোগ শোনা যায় নানা মহলে। এরপরও জিডিপি গ্রোথ, বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের আকার স্থিতি, কর্মসংস্থান তুলনামূলক হলেও দেশে-বিদেশে মিলিয়ে নিরাশাব্যঞ্জক নয়। এসবের জন্য কাকে সাধুবাদ জানাবেন- সরকার না প্রাইভেট সেক্টরকে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: দেখুন, সরকার যদি সঠিক কাজ না করে তবে প্রাইভেট সেক্টর কি একাই পারে? পারে না। প্রাইভেট সেক্টরকে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হয়। আমি কিন্তু সেটাই করেছি। আগে দেশে একটা টেলিভিশন ছিল, একটা রেডিও ছিল। এখন ৪৪টা টেলিভিশনের অনুমোদন দেওয়া আছে যার মধ্যে ২৪ টা চলছে। এফএম রেডিও এবং কমিউনিটি রেডিও অনুমোদন দিয়েছি। এতে কর্মসংস্থান হয়েছে। বিদ্যুৎ, প্রাইভেট হেলিকপ্টার, বিমানসহ সবক্ষেত্রে প্রাইভেট সেক্টরকে উন্মুক্ত করে দিয়েছি।
ভয়েস অব আমেরিকা: নাগরিক হিসেবে নিবন্ধিত নন- এমন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহিৃতদের সম্পর্কে ভারতের ক্ষমতাসীনদের হুংকার আপনাকে কতটা চিন্তান্বিত করে, আদৌ চিন্তান্বিত করে কিনা?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: এটা বোধ হয় তাদের পলিটিক্স। এটা তাদের পলিটিক্স তারা বলছে। আমি তো মনে করি না কোনও বাংলাদেশি সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের অর্থনীতি যথেষ্ট শক্তিশালী ও মজবুত। সুতরাং বাংলাদেশিরা কেন সেখানে অবৈধ আশ্রয় নেবে। তারা তাদেরই নাগরিক। তারা যদি কাউকে অবৈধ বলে এটা সম্পূর্ণ তাদের ব্যাপার। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি কিছুটা কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রীর (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, তাদেরকে ফেরত (বাংলাদেশে) পাঠানোর মতো চিন্তা তাদের নেই।

টিআর/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি