আজ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়
প্রকাশিত : ০০:০১, ১০ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ০৯:১৫, ১০ অক্টোবর ২০১৮
২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা মামলার রায় আজ বুধবার। দীর্ঘ বিচারিক কাজ শেষ করে ১৪ বছর পর এ রায় দেওয়া হচ্ছে। এই রায়কে ঘিরে দেশব্যাপী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হুজি নেতা মুফতি হান্নান, সাবেক মন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু ও লুৎফুরুজ্জামান বাবরসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়। দীর্ঘ বিচারকাজ শেষে বুধবার ওই ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলার রায় ঘোষণা হবে।
রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কেউ যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য দেশজুড়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশের সঙ্গে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকাসহ নাজিমুদ্দিন সড়কে অবস্থিত অস্থায়ী আদালত এলাকায় তীক্ষ্ণ নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাজনিত কোন হুমকি নেই। তবু কোনও স্বার্থান্বেষী মহল যাতে কোন সহিংসতা না চালাতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের নজরদারি রয়েছে। এ রায়কে কেন্দ্র করে সহিংসতার চেষ্টা হলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। কোনও ধরনের অপতৎপরতা বরদাশত করা হবে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, রাজধানীর পাশাপাশি সারাদেশে বিশেষ করে মামলায় রায় হতে যাওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিজস্ব এলাকায় নাশকতা ঠেকাতে বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বাড়ানো হয়েছে টহল। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বিভিন্ন সড়কে র্যাব ও পুলিশের বাড়তি টহল গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।
বুধবার সকাল থেকেই এই নিরাপত্তা আরও বেশি জোরদার করা হবে। সাদা পোশাকে পুলিশি তৎপরতার পাশাপাশি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি রায়ট কার, জলকামানও মোতায়েন করা হবে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে। পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
এ দিকে রায়ের মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর নাজামুদ্দিন সড়কের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত বিশেষ আদালত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিশেষ আদালতসহ আশপাশ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য বাড়তি পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। সন্দেহভাজনদের করা হচ্ছে তল্লাশি।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় মূলত টার্গেট ছিল আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। ওই হামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও, গুরুতর আহত হন তিনি।
এছাড়া এই হামলায় মহিলাবিষয়ক সভানেত্রী আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারান। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডে আহত হন শত শত নেতাকর্মী, অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেন। সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি আর শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিনটারের যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছেন অনেকে।
কেআই/ এসএইচ/
আরও পড়ুন