সৌদি আরব গেলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ২০:৪৫, ১৬ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ২২:২৪, ১৬ অক্টোবর ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি বাদশাহ এবং দু’টি পবিত্র মসজিদের খাদেম সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় সফরের অংশ হিসেবে আজ বিকেলে চারদিনের সফরে রিয়াদের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফর সঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট আজ বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে সৌদি রাজধানী রিয়াদের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী এস এম শাহজাহান কামাল, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, কুটনৈতিক কোরের ডীন এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিমানটি সন্ধ্যা ৭টায় (স্থানীয় সময়) রিয়াদের কিং খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল তাঁর স্যুটে কাউন্সিল অব সৌদি চেম্বার (সিএসসি) এবং রিয়াদ চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
একই দিন বিকেলে শেখ হাসিনা সৌদি রাজপ্রাসাদে বাদশাহর সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং পরে মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দিবেন।
প্রধানমন্ত্রী সৌদি যুবরাজ ও উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
পরে তিনি সৌদি রাজধানী রিয়াদের কূটনৈতিক এলাকায় বাংলাদেশ চ্যান্সেরি ভবনের উদ্বোধন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল সন্ধায় বিমানযোগে পবিত্র নগরী মদিনার উদ্দেশে রিয়াদ ত্যাগ করবেন এবং মসজিদে নববীতে মহানবী হযরত মোহম্মদ (স.) এর রওজা জিয়ারত করবেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী জেদ্দা পৌঁছাবেন এবং সেখানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
শেখ হাসিনা এশার নামাজের পর মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার সকালে দেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরকালে ২টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। এগুলো হলো- প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং আইসিটি খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সৌদি বাদশাহর মধ্যে বৈঠকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিজ দেশে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের বিষয়টি আলোচনা করা হবে।
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বিষয়গুলো ছাড়াও শ্রমিক কল্যাণ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্য ও সমৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয়েও আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে আগামী দিনগুলোতে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে ।
এসি
আরও পড়ুন