মীর কাসেম আলীর নেতৃতে চালানো হতো নারকীয় নির্যাতন, বিভিন্ন এলকায় ছিল টর্চার সেল
প্রকাশিত : ১৮:০২, ৩০ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১৮:০২, ৩০ আগস্ট ২০১৬
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মীর কাসেম আলীর নেতৃত্বে চট্টগ্রামে মুক্কিামী মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে চালানো হতো নারকীয় নির্যাতন। ডালিম হোটেল, পাঁচলাইশ থানা সংলগ্ন সালমা ভবন এবং চাক্তাইয়ের চামড়া গুদাম এলাকার অবাঙ্গালী দোস্ত মোহাম্মদের বাড়ি ছিল টর্চার সেল। মীর কাসেম আলীর ফাঁসীর আদেশ বহাল থাকায় ন্যায় বিচার পাওয়ার কথা জানালেন ৭১’র স্বজন হারানো মানুষ।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে চট্টগ্রামের এই ডালিম হোটেলটি ছিল ফাঁসীর দন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর টর্চারসেল। মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে চালানা হতো অমানুষিক নির্যাতন। একইভাবে
পাঁচলাইশ থানা সংলগ্ন ’সালমা ভবন’, কর্ণফুলীর তীরবর্তী চামড়া গুদাম এলাকার অবাঙ্গালী দোস্ত মোহাম্মদের এই বাড়িটিও ছিল আলবদর বাহিনীর ক্যাম্প। নির্যাতনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে ফেলে দেয়া হতো পার্শ্ববর্তী চাক্তাই খালে।
৭১’র সেই দু:স্ধসঢ়;হ স্মৃতি বহন করে চলেছেন মীর কাসেম আলীর হাতে নিহত নির্মম ভাবে নিহত কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমের বড় বোন। ফাঁসি বহাল থাকায় স্বস্তি জানিয়েছেন তিনি।
যারা বাঙ্গালীদের উপর পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছিল, যারা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে না, তারা ক্ষমা পেতে পারেনা বলে মনে করেন ৭১’র নির্যাতিতরা।
এদিকে দেশের সবোর্চ্চ আদালত মীর কাশেম আলীর ফাঁসীর আদেশ বহাল রাখায় চট্টগ্রামে মিছিল সমাবেশের পাশাপাশি মিষ্টি বিতরন করেছে গণ জাগরণ মঞ্চ।
মানবতা বিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও দাবী জানান তারা।
আরও পড়ুন