প্রতারণার শিকার মালয়েশিয়াগামী ৬৩ জনকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত
প্রকাশিত : ১৩:৪৩, ১০ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৩:৪৭, ১০ নভেম্বর ২০১৮
প্রবাসীদের রেমিটেন্সে দেশের অর্থনীতির চাকা দ্রুত গতিতে ঘুরলেও, বিদেশ যাত্রায় পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের।
ক্যাথারসিজ ইন্টারন্যাশনাল এর গাফিলতিতে পরিবারের ভিটে-মাটি বিক্রি করে মালয়েশিয়া গিয়েও এয়ারপোর্ট থেকে সম্প্রতি ফিরে এসেছে ৬৩ জন। শুধু ক্যাথারসিজই নয়, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আরো অনেক এজেন্সি। তবে, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে মন্ত্রণালয় ও বায়রা।
রেমিটেন্স পাঠিয়ে যে শ্রমিকরা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন, বিদেশ যেতে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের। বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত ফি থাকলেও আদায় করা হয় কয়েকগুন বেশি।
ক্যাথারসিজ ইন্টারন্যাশনালের গাফিলতি, দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতা, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারির অনিয়মের কারণে মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পরও ফেরত আসতে হয়েছে ৬৩ শ্রমিককে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, এসব শ্রমিক পাঠানোর আগেই প্রতারণার আশ্রয় নেয় ক্যাথারসিস। শ্রমিকদের স্মার্ট কার্ড নিজেদের নামে না করিয়ে অনুমোদনহীন অন্য তিনটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করানো হয়।
কলিং ভিসার জন্য নির্ধারিত এজেন্সির বাইরে কিভাবে বিএমইটি কার্ড দিলো, সে প্রশ্ন তুলেছেন অন্যান্য এজেন্সির মালিকরা।
বিভিন্ন দেশে কর্মরত নারী কর্মীদের উপর শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতনেরও অভিযোগ উঠেছে। এ’কারণে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন অনেকে।
অনেক নারীকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছে রাহমা ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস। কিন্তু, এখন সেই অফিস বন্ধ। অভিযোগও জানাতে পারছেন না ভুক্তভোগীরা।
ক্যাথারসিসসহ বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির দুর্নীতি, শ্রমিক হয়রানিসহ নানা অসংগতির বিষয়ে কথা হয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বায়রার মহাসচিবের সাথে। তারা জানান, ফেরত আসা শ্রমিকদের আবার পাঠানোর ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
দালাল ও এজেন্সির দৌরাত্ব থেকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিদেশগামীরা।
ভিডিও: https://youtu.be/BpdA8-bA9ZE
আরও পড়ুন