দুর্ঘটনা কমাতে আইনের পাশাপাশি সচেতনতা তৈরি করতে হবে
প্রকাশিত : ১৯:০৩, ১০ নভেম্বর ২০১৮
বিশিষ্ট লেখক-কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক হতে হবে, আইন মানতে হবে। আইন না মানার কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে। পথচারীদের মাঝেও আমরা দেখছি কানে হেডফোন লাগিয়ে এবং মোবাইলে কথা বলতে বলতে অসতর্কভাবে রাস্তায় চলাচল করতে। এতে করে প্রতিবছর অনেক সাধারণ মানুষসহ অনেক স্বপ্নময় তরুণের অকাল মৃত্যু ঘটছে। যা থেকে পরিত্রানের জন্যে আইন পালনের পাশাপাশি সচেতনতাও তৈরি করতে হবে।
আজ শনিবার বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়াসংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনার প্রভাবে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪০ হাজার কোটি টাকা। ফলে দুর্ঘটনার কারণে বছরে মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি) ২ থেকে ৩ শতাংশ হারাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতীয়ভাবে বাংলাদেশের নানা অর্জন থাকলেও সড়কের নিরাপত্তা বিধানে আমরা এখনও পিছিয়ে রয়েছি। সেবার পরিবর্তে সড়ক পরিবহন সেক্টরে প্রতিনিয়ত চরম নৈরাজ্য ও প্রতিহিংসা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত একটি পরিকল্পিত, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, জনবান্ধব আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠেনি। ফলে সড়কে মৃত্যুর মিছিল কোনোভাবেই থামছে না। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় গড়ে ৬০ জনের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। পথচারীদের মধ্যে জেব্রাক্রসিং-ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে না করে বেপরোয়াভাবে চলাচল সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি করছে। একই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে নগরে আপভিত্তিক যে রাইড শেয়ার চালু হয়েছে তার চালকদের সক্ষমতা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিয়মের মধ্যে আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কয়েক মাস আগে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে করা আন্দোলনে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নতুন পথ দেখালেও আমরা এখনও সচেতন হয়নি। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন করা হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে জানান জনাব কিরণ। তবে এই আইনের কিছু বিষয় নিয়ে পরিবহন শ্রমিকরা যে ভুল বুঝাবুঝি তৈরি হয়েছে তারও অবসান হওয়া প্রয়োজন।
প্রতিযোগিতায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এতে বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, মো. আতিকুর রহমান, সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন, ড. তাজুল ইসলাম তুহিন এবং ফ্রী-ল্যান্স সাংবাদিক জাহিদ রহমান।
এসএইচ/
আরও পড়ুন