ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

পশুর বর্জ্য রপ্তানির পরিমাণ প্রতিবছর বাড়ছে

প্রকাশিত : ১৫:৩৭, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১৫:৩৭, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

Ekushey Television Ltd.

প্রতিবছর বাড়ছে কোরবানির পশুর বর্জ্য রপ্তানির পরিমাণ। আয় হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। শুধু হাড়ই নয়; পশুর রক্ত, নাড়িভুঁড়ি, শিং, দাঁতসহ বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ রপ্তানী হয় থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, চীন, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে। তবে, ব্যবসায়িরা বললেন, ব্যাপক চাহিদা সত্ত্বেও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে দেশে পশুর বর্জ্য ঠিকভাবে সংগ্রহ করা যায় না। প্রতি বছর দেশে প্রায় ৬০ লাখ গরু- মহিষ এবং ৩০ থেকে ৩৫ লাখ ছাগল কোরবানি দেয়া হয়। কোরবানির পর এসব পশুর হাড়, নাড়িভুঁড়ি, শিং, দাঁত ও অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গসহ অপ্রয়োজনীয় অংশ ফেলে দেয়া হয় ডাস্টবিনে। আর্থিক গুরুত্বের কারণে পরে এ’সব বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে সংগ্রহ করেন ব্যবসায়িরা। গরু-মহিষের দাঁত ও হাড় থেকে তৈরি হয় ক্যাপসুলের কাভার। শিং থেকে তৈরি হয় বোতাম আর ফেলে দেয়া চর্বি প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি হয় সাবান। এছাড়া, দেশের বাইরে নাড়িভুড়িরও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। থাইল্যান্ড- চীনসহ বিভিন্ন দেশে গরু- মহিষের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিয়ে ওষুধ তৈরি এবং খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ফেলে দেয়া এসব উচ্ছিষ্ট বিদেশে রপ্তানি করে প্রতি বছর আয় হয় কোটি কোটি টাকা। সরকার উদ্যোগী হলে কোরবানির পশুর এসব উচ্ছিষ্ট আরো বেশি পরিমাণে রপ্তানী করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।  
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি