নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে: ইউরোপীয় ইউনিয়ন
প্রকাশিত : ১৮:০৬, ২৮ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৯:৪৪, ২৮ নভেম্বর ২০১৮
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বেশ প্রতিযোগিতামূলক এবং সেই সঙ্গে অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ)।
আজ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে ইইউ’র একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে এই আশাবাদের কথা জানান।
ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের সাফল্য কামনা করেছি। কারণ ১০ কোটি ৪০ লাখ ভোটার এবং ৪০ হাজার নির্বাচনী কেন্দ্র নিয়ে ইসির সামনে একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ আসছে। এটি একটি বড় কর্মযজ্ঞ। আমরা আশা করি এটি একটি বেশ প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হবে। সেই সঙ্গে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।’
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীসহ ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ইইউ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সফরে আসা ইইউ নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ এবং দল প্রধান ডেভিড নয়েল ওয়ার্ড। এছাড়া প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশ সফরে আসা নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ ইরিনি-মারিয়া গোওনারি, ঢাকাস্থ ইইউ রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংক এবং ইইউ দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের প্রথম সচিব এরিকা হ্যাজোন্স।
প্রায় ১ ঘন্টা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ইইউ রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তেরিংক বলেন, ইইউ বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনের দিকে চোখ রাখছে। ইইউ চেষ্টা করেছে একটি নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ দল প্রেরণের। যার মাধ্যমে ইই্উ বাংলাদেশের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে।
তিনি জানান, এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে তারা দু’জন বিশেষজ্ঞ পাঠাচ্ছেন। তারা হলেন- ডেভিড নোয়েল ওয়ার্ড ও ইরিনা মারিয়া গৌনারি। দুই বিশেষজ্ঞ এখন থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। সবশেষে তারা এ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ইইউ’র নির্বাচন বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশে ৪০ দিনের মতো থাকবেন। এখানে থাকাকালীন নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন এবং সেই সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে তাদের কিছু সুপারিশ দেয়ার কথা রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একটি পূর্ণ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল পাঠাতে বেশ আগে থেকেই অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়। যার প্রস্তুতি কমপক্ষে ৬ মাস আগে থেকে শুরু করতে হয়। আমাদের অন্যান্য অংশিদার দেশগুলো থেকেও নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর চাপ রয়েছে। ফলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ইইউ হেডকোয়ার্টার নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। ফলে যতগুলো দেশ থেকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানোর অনুরোধ এসেছে, তার সবগুলো রাখা ইইউ’র পক্ষে সম্ভব নয়।’ সূত্র: বাসস
এসি
আরও পড়ুন